বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ॥ এমপি আবু জাহির
স্টাফ রিপোর্টার ॥ যাঁর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হতো না। আজ থেকে শতবর্ষ পূর্বে এক অজপাড়া গাঁয়ে জন্মেছিলেন হাজার বছরের এ শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনসহ স্বাধীনতা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের এ মহানায়ক যখনই যুদ্ধ বিধ্বস্ত নবসৃষ্ট বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করছিলেন, ঠিক তখনই তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছে হায়েনার দল।
মঙ্গলবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ উল্লেখ করে এমপি আবু জাহির বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশ থেকে জাতির পিতার নাম চিরতরে মুছে ফেলা ও দেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা। বাংলাদেশের জনগণের অকৃত্রিম ভালোবাসায় ২০০৮ সাল থেকে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবেই।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। নিজেদের বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতে পারছি। পৃথিবীতে কালে-কালে অনেক নেতা এসেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কারিশম্যাটিক নেতৃত্ব অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করেছিল। যিনি ২৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে প্রায় ১৩ বছরের মতো শুধু নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ে কারাগারে কাটিয়েছেন।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মর্জিনা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক অমিতাভ পরাগ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে ইসরাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম প্রমুখ।