স্টাফ রিপোর্টার || বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ৩ বার হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। সকল ধর্মের কল্যাণে কাজ করেছি। প্রায় দুইশ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি। কিন্তু একটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে কেউ করতে পারেনি। এটাইতো আমার সবচেয়ে বড় সফলতা। আমার কোনো অর্থের মোহ নেই। আমি সকল ভাল কাজের অংশীদার হতে চাই। জনসেবার মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে থাকতে চাই। গতকাল বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে হবিগঞ্জে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- আমি বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। বিএনপি মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের মধ্যে প্রত্যেকটি ধর্মের মানুষ মাথা উচু করে বসবাস করবে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে। এতে কোনো দুষ্ট লোক যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে কাজ করছে, বিএনপি তাদের সহায়তা করবে। প্রতিটি এলাকায় প্রতিটি পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় বিএনপি ও এর সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি বলেন- সকল ধর্মের মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে। এই দেশে আমরা সকল ধর্মের মানুষ সমান মর্যাদা নিয়ে মাথা উচু করে বসবাস করবো। এই দেশে একটি ধর্মের মানুষ ধর্মীয় উৎসব উদযাপনে অন্যের সহায়তা লাগবে কেন, এখানেই তো আমাদের দুর্বলতা, এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
জি কে গউছ বলেন- হবিগঞ্জ একটি শান্তিপূর্ণ শহর। এই শহরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। এই শহরে পূজা এবং ঈদ এক সাথে পালন করে আমরা সম্প্রীতির উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। এই শহরে যাতে কোনো পালিয়ে যাওয়া অপশক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য বিএনপি সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নলিনী কান্ত রায় নিরু’র সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অর্জুন রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান কাজল, পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম বজলুর রহমান প্রমূখ।