মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবাসপুরে নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকে নেমে কাজ করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ভবন নির্মাণের ঠিকাদার মোবাশ্বির মিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাবাসপুরে খন্দকার আনোয়ার হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পঞ্চাশ গ্রামের বাসিন্দা ভবনের পাহারাদার খন্দকার মানিক মিয়া (৬০) ও বানিয়াচং উপজেলার কাটখাল গ্রামের বাসিন্দা নির্মাণ শ্রমিক রফিকুল ইসলাম (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পঞ্চাশ গ্রামের খন্দকার আনোয়ার হোসেন পৌরসভার সাবাসপুর গ্রামে জমি ক্রয় করে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ করছেন। ঘটনার সময়ে নির্মাণ শ্রমিক ও পাহারাদার ট্যাংকের ভিতরে সাটারিং খোলার জন্য নেমে আটকা পড়েন। তারা বুঝতে পারেননি ভিতরে তাদের জন্য কি ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে। বিষাক্ত গ্যাসে ধাপে ধাপে দুইজনই অচেতন হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে দুইজনেরই মৃত্যু হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঠিকাদার মোবাশ্বির মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল কর্মী ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব হোম দাস, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আ স ম আফজল আলী, প্রেসক্লাব সভাপতি মঈনুল হাসান রতন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুল হাসানসহ শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- ওই দুইজন নির্মাণাধীন ট্যাংকের নিচে নামেন সাটারিং খোলার জন্য। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে তারা ট্যাংকের ভিতরে মারা যান।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি দীলিপ কান্ত নাথ বলেন, সেপটিক ট্যাংকে পড়ে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আইনি প্রক্রিয়াতে মৃতদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।