স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিগন্যাল অমান্য করে একটি ডাম্প ট্রাক নিয়ে পালাচ্ছিল তারা। কিন্তু পথে একটি হায়েস গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে সরু রাস্তা ধরলে এক সময় কাত হয়ে থেমে যায় ট্রাকটি। ডাম্প ট্রাক ছেড়ে দ্রুত পালাতে চেয়েছিলেন জীবন ও আরিফ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বিশাল মদের চালানসহ তারা ধরা পড়লেন র্যাবের হাতে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিলেট সদর কোম্পানী ও সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে সিলেটের শালুটিকর ব্রিজের পাশে চেকপোস্ট করছিল। তখন একটি ডাম্প ট্রাককে থামানোর সংকেত দিলে তা অমান্য করে ট্রাকটি দ্রুত গতিতে সিলেট সদরের দিকে রওনা হয়। তখন সরকারি একটি হায়েস গাড়িতে করে র্যাব সদস্যরা ডাম্প ট্রাকটিকে অনুসরণ করেন। ট্রাকটি সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক হয়ে ঢাকার দিকে রওনা করে।
পরে হবিগঞ্জের লস্করপুর রেলক্রসিংয়ে সিগন্যাল পড়ায় ডা
ম্প ট্রাকটি হায়েস গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে লস্করপুরের সরু রাস্তায় প্রবেশ করে। র্যাব সদস্যরা ডাম্প ট্রাকের পিছু নেন এবং হবিগঞ্জ সদরের লস্করপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চর হামুয়া এলাকার পাকা রাস্তার পাশে ট্রাকটি পড়ে থেমে যায়। এসময় ট্রাকটির বামদিকের দরজা খোলে দুই ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর সময় তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার বারদী গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে মো. জীবন মিয়া (২৭) ও কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার সুফিরকান্দি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. আরিফ ভুঁইয়া (৩০)। ওই সময় বালু ভর্তি ডাম্প ট্রাকটি তল্লাশি করে ১ হাজার ৮৮০ বোতল বিদেশী মদ জব্দ করে র্যাব। এদিকে র্যাবের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আটক দুইজন আহত হলে পুলিশ হেফাজতে তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং জব্দকৃত আলামত ও ট্রাক হবিগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাবের গণমাধ্যম কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, আটককৃতরা সদর থানার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। জব্দকৃত মালামাল তাদের জিম্মায় আছে। আটককৃতদের কাছ থেকে আরও তথ্য উদঘাটনের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।