এস কে কাওছার আহমেদ, আজমিরীগঞ্জ থেকে ॥ ঈদের ছুটি কাটতে না কাটতেই পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জামায় আবিদুর রহমান (২০)। মাদরাসার পড়াশোনা রেখেই অসুস্থ বাবার চিকিৎসা আর পরিবারের অভাব অনটন ঘোচাতে বাড়ী ছেড়ে কাজে লাগে আবিদুর রহমান। পরিবারের ৫ সদস্যের মধ্যে আবিদুর সবার ছোট। দুই ভাই আর এক বোনের সংসারে বাবা দীর্ঘদিন অসুস্থত থাকার কারণে পরিবারে দেখা দেয় অসচ্ছলতা আর করুণ দুর্দশা। ভিটেমাটিহীন আবিদুরের পরিবার থাকেন চাচার জমিতে। ভিটেমাটির জোগান দিতেই আবিদুর কাজের মধ্যে গিয়ে হলো লাশ। পিতার বুক ফাটা আর্তনাদে চোখের পানি ধরে রাখতে পারছে না পরিবারে কেউ।
প্রসঙ্গত, লাখাই উপজেলার জহির উদ্দিনের বাড়ীতে ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ করতে যায় আবিদুর রহমান। কাজ করার সময় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে যায় সে। পরে সহকর্মী ও ভবনের মালিক হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে তাকে। কর্তব্যরত চিকিৎসক আবিদুরকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মৃত ঘোষণা করেন। কিভাবে মারা গেছে সে বলতে পারেনি কেউ?
আবিদুরের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, কখন মারা গেছে আমরা জানি না কিছুই। দু’জন মহিলা এসে আমাদের বলে গেছে আবিদুর কাজ করতে গিয়ে পড়ে গেছে। পরে আবিদুরের ভাই চাচারা খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ছুটে যান। হাসপাতালে যাওয়ার আর আবিদুরের কণ্ঠে শব্দ শুনেনি কেউ। ঘটনার খবর পেয়ে ঠিকাদার হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানান তারা।
আবিদুরের পরিবারের লোকজন আরও জানান, পুলিশ আবিদুরের লাশ ময়নাতদন্ত করেছে। আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আইনের আশ্রয় নেব। আমরা রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।