লাখাইয়ে মহিলা সমাবেশে জি কে গউছ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। দেশে গণতন্ত্রের কোনো পরিবেশ ছিল না। তাই সংস্কারের নামে সময় ক্ষেপন করা যাবে না। চল চাতুরী করে কেউ ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইলে শেখ হাসিনার যে পরিণতি হয়েছে তাদেরও এর ব্যতিক্রম হবে না। গত ১৫ বছর বিএনপি রাজপথে ছিল, রাজপথে আছে। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে চায়, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাতে চায়। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় লাখাই উপজেলা বিএনপির দোয়া ও মহিলা সমাবেশে এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ আরও বলেন- আওয়ামী লীগের আমলে শিশু, কিশোর, যুবক বৃদ্ধ, নারী কেউই শান্তিতে ছিল না। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই ধরে নিয়ে গেছে, অপমান করেছে, অপদস্থ করেছে। যা মহান আল¬াহ বরদাস্ত করেননি। সে জন্যই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এখন বাড়ি ছাড়া, দেশ ছাড়া। কারণ পাপে বাপরেও ছাড়ে না।
তিনি বলেন- খালেদা জিয়ার আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে শেখ হাসিনা অনেক ষড়যন্ত্র করেছে, মামলা দিয়েছে, জনগণের কাছ থেকে দুরে রাখতে জেলে পাঠিয়েছে। দেশের মানুষ দেখেছে শেখ হাসিনা গত ১৫টি বছর বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি কতটা জুলুম করেছে, অপদস্ত করেছে, বাক্যবাণে জর্জরিত করেছে। এতে দেশের মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে, খালেদা জিয়ার জন্য মানুষ মহান আল্ল¬াহর নিকট দোয়া করেছে, নফল রোজা রেখেছ, নফল নামাজ পড়েছে, সনাতন ধর্মের মানুষ প্রার্থনা করেছে। খালেদা জিয়া বিনা বেতনে ক্লাস ওয়ান থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত মেয়েদের লেখা পড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। বিনামূল্যে বই দিয়েছিলেন, বয়স্ক ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের ভাতা, মাতৃত্বকালিন ভাতা চালু করেছিলেন।
লাখাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, লাখাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুদ্দিন আহমেদ, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আয়াতুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, মোস্তুফা কামার খসরু প্রমূখ।