মো. মামুন চৌধুরী ॥ পরিবারের সুখশান্তি আর উন্নত জীবনের আশায় স্ত্রী সন্তান ও মা বাবাকে ছেড়ে মাত্র ৪ মাস আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী গ্রামের মাসুক মিয়া। প্রবাসে চাকুরি করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালই কাটছিল তার জীবন। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় সবকিছু তছনছ করে দিল মাসুকের। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ২০দিন পর সোমবার বিকেলে মাসুক মিয়া লাশ হয়ে ফিরলো বাড়িতে। লাশ বাড়িতে পৌছার পর স্ত্রী সন্তানসহ আত্মীয়স্বজনের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। নিহত মাসুক উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের জহুর আলীর ছেলে। নিহত মাসুকের স্ত্রী ও ৩ বছরের একমাত্র ছেলে রয়েছে।
পরিবার সুত্র জানায়, মাসুক মিয়া মাত্র ৪ মাস পুর্বে চাকুরি নিয়ে সৌদি আরব যান। ভালই চলছিল তার সহকর্মীদের নিয়ে প্রবাস জীবন। গত ৭ জানুয়ারি সৗদি আরবে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মাসুক। মাসুনের মৃত্যুর পর সন্তানের লাশ দেখতে পাবেন কিনা এ নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েন অসহায় পিতা মাতা। অবশেষে মৃত্যুর ২০দিন পর প্রবাসে তার সহকর্মী একই গ্রামের মাহমুদুর রহমান রুবেল সৌদির দূতাবাসের সহযোগিতায় লাশ নিয়ে দেশে আসেন। সোমবার ভোর রাতে লাশ পৌছায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। সেখান থেকে অসহায় পরিবারটির পক্ষে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য কামাল হোসেন লাশ গ্রহন করে বাড়ি নিয়ে আসেন। সোমবার বিকেলে লাশ বাড়িতে পৌছার পর স্ত্রী সন্তান, পিতা মাতা ও আত্মীয় স্বজনের কান্নায় আকাশ আতাস ভারি হয়ে উঠে।
কামাল হোসেন জানান, অসহায় পিতা মাতা, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান রেখে মারা যান মাসুক। রাতেই তার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।