আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভায় জি কে গউছ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- আমি দুর্নীতির সাথে ছিলাম না, ভবিষ্যতেও দুর্নীতির সাথে থাকব না। আমি হবিগঞ্জ পৌরসভায় মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে শত শত কোটি টাকার চেকে স্বাক্ষর করেছি, কিন্তু একটি টাকা দুর্নীতি করেছি কেউ অভিযোগ করতে পারেনি। আমি চাই আমার জানাজাটা বড় হউক, আমার লাশের সামনে মানুষ ভালো কর্মের কথাগুলো বলুক। আমি কাজের মানুষ। পাথর লাগানোতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি না। আমি জন্মেছি এই শহরে, বড় হয়েছি এই শহরে। আমি দল-মত ও ধর্ম-বর্ণের উর্ধ্বে উঠে সকল মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সকল ধর্মের মানুষের ভোটে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলাম। আমাকে মানুষ যে ভালোবাসা দিয়েছে তা কর্মের মধ্য দিয়েই পরিশোধ করতে চাই। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ বারে জেলা আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ আরও বলেন- আমি রাষ্ট্রীয় কোনো দায়-দায়িত্বে নেই। তারপরও হবিগঞ্জের আইনজীবীরা আমাকে যেভাবে সম্মানীত করেছেন তা আমার অন্তরে থাকবে। আমি যখন সুযোগ পাবো আইনজীবীদের পাশে থেকে এই ঋণ শোধ করব।
জি কে গউছ বলেন- বিগত ১৫ বছর আমরা গায়েবী মামলার শিকার হয়েছি। ৫ আগস্টের পরও যদি গায়েবী মামলা হয় তাহলে ৫ আগস্টের গণঅভ্যূত্থানের কোনো সার্থকতা নেই। তাই কোনো নিরপরাধ মানুষ যাতে মামলায় আসামী না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।
জেলা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান রুমি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মোছাব্বির বকুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মোফাজ্জুল হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট অহিন্দ্র দত্ত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মনোয়ার আলী, অ্যাডভোকেট বদরু মিয়া, অ্যাডভোকেট সজল বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট রহমতে এলাহি, অ্যাডভোকেট রঞ্জিত দত্ত, পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই, জিপি অ্যাডভোকেট খাইয়রুল ইসলাম খোকন, অ্যাডভোকেট স্বদেশ বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট সরাজ বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট শ্যামল কুমার, অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান, অ্যাডভোকেট তাজ উদ্দিন আহমেদ সুফি প্রমূখ।