সংবাদদাতা ॥ ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি) এর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হবিগঞ্জে প্রকৌশলী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ হাজী আব্দুল বারিক কনভেনশন হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এফডিইবি’র হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী ইকরামুল মাজিদ দুলালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান রেজা’র সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি) এর হবিগঞ্জ জেলা শাখার উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর হবিগঞ্জ জেলা শাখার আমীর ও হবিগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী কাজী মাওলানা মুখলেছুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফডিইবি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চল পরিচালক প্রকৌশলী মো: মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক প্রকৌশলী মো: তারিকুল ইসলাম তারেক, অধ্যক্ষ কাজী মহসিন আহমেদ, আইডিইবি হবিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মনসুর রশীদ কাজল, গ্লোরী এগ্রো প্রোডাক্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক জি কে এম জিয়া উদ্দিন ভূঁইয়া, শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মঈনুল হাসান রতন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্তত সাড়ে তিনশ প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে প্রকৌশলী ইকরামুল মাজিদ দুলালকে সভাপতি ও প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান রেজাকে সাধারণ সম্পাদক, সৌকত ইসলামকে সাংগঠনিক ও জিয়া উদ্দিন ভূঁইয়াকে তথ্য সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট হবিগঞ্জ জেলা এফডিইবির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সভায় বক্তাগণ বলেন- প্রকৌশলীদের কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা ও সততার পরিচয় দিতে হবে। তা না হলে কর্তৃপক্ষের কাছে যেমন জবাবদিহিতা করতে হবে, তেমনি মহান প্রভুর কাছেও জবাবদিহিতা করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে সততা না থাকলে খুব শীঘ্রই ঝড়ে যেতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মাওলানা মুখলেছুর রহমান বলেন- আধুনিক দেশ গঠনে যেমন প্রকৌশলীর দরকার, তেমনি সততা ও দক্ষতার দরকার।
বক্তাগণ বলেন- ৫ আগস্ট বিপ্লবের মূল স্প্রিট ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে প্রকৌশলীরা এখনও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। দেশের উন্নয়নের সামনের সারির সৈনিক এদেশের প্রকৌশলী সমাজ। কিন্তু এখনও তাদের নূন্যতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ হয়নি। এটি কখনও মেনে নেওয়া যায় না। কর্মক্ষেত্রে এখনও ইঞ্জিনিয়ারদের টেকনিশিয়ান, মেকানিক, সুপারভাইজার পদবি নিয়ে কাজ করতে হয় যা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য একটি অপমান এবং বৈষম্য। এই সিস্টেমের প্রতিবাদে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে, কিন্তু বাস্তবিক অনেক শিল্পকারখানায় সেই টেকনিশিয়ান বা সুপারভাইজার পদবি নিয়ে কাজ করা লাগছে। জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী অন্তর্বর্তী সরকারকে এ ব্যাপারে জোড়ালো ভূমিকা রাখার জোড় দাবি জানানো হয়।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com