‘সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সকল ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় সদর উপজেলা হল রুমে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর আয়োজনে, পিস কো-অর্ডিনেটর জালাল উদ্দীন রুমির সঞ্চালনায় ও পিস এম্বাসেডর মাহবুবুর রহমান আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রঞ্জন চন্দ্র দে। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান। শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মুফতি নাছির উদ্দীন খান, গীতা পাঠ করেন শংকর অধিকারী, বাইবেল পাঠ করেন জন মাইকেল সরকার, ত্রিপিটক পাঠ করেন সাধন বড়–য়া। পরে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে মূল আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিএফজি এম্বাসেডর ও সুজন হবিগঞ্জ জেলা সম্পাদক চৌধুরী মিজবাহুল বারী লিটন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পিএফজির ধর্মীয় নেতা প্রফুল্ল চন্দ্র বৈষ্ণব, সম্প্রীতির অভিযাত্রা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিএফজি সদস্য সুজন, হবিগঞ্জ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালিব তালুকদার দুলাল, ঘোষণা পত্র পাঠ করেন পিএফজি সদস্য আব্দুল হান্নান।
মুক্ত আলোচনায় হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি শংকর অধিকারী বলেন- যুগে যুগে ধর্মের বাণী প্রচারে অনেক মনীষী এক সাথে কাজ করে গেছেন সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার জন্য। খ্রিস্টান ধর্মের প্রতিনিধি জন মাইকেল সরকার বলেন- বহু বছর থেকে হবিগঞ্জে গীর্জায় সব ধর্মের লোকজন আসেন। প্রতিটি উপাসনালয়-ই পবিত্র জায়গা। আমাদের মনের ভেতরে ধারণ করতে হবে ধর্ম যার যার কিন্তু এই রাষ্ট্র্র সবার। বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিনিধি সাধন বড়–য়া বলেন- অহিংস পরম ধর্ম, এটি বহু যুগ আগে থেকে প্রচলিত। আমরা যদি যার যার ধর্ম সঠিক ভাবে মেনে চলি তাহলে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকবে। পিএফজি সদস্য ও ইসলাম ধর্মীয় নেতা মুফতি আলমগীর হোসাইন সাইফী বলেন- ইসলাম ধর্মে সহিংস ও সংঘর্ষ এড়াতে আমাদের নবী রাসুলরা সম্প্রীতি রক্ষায় সব ধর্মের নেতাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতেন। সকলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতেন। ইসলাম ধর্মে সহিংসতার কোন স্থান নেই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ঢাকা এর মিপস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মনিটরিং এক্সপার্ট ফাতেমা মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন মাওলানা গোলাম মস্তুফা নবীনগরী, মাওলানা আবু তৈয়ব মুজাহিদি, মাওলানা মুফতি সিরাজুল ইসলাম, মুফতি সৈয়দ শাহাদুল ইসলাম, পিএফজি সদস্য আব্দুল হান্নান ফরিদ, কৌশিক আচার্য পায়েল, আঃ জলিল মিয়া, চম্পা লাল বণিক, শিবেন্দ্র রায়, মুফতি আব্দুল হালিম, শ্রীভাস বণিক, সৈয়দ আহমেদ, আঃ আজিজ, মানিক হাসান, হুমায়ুন কবির, আব্দুল ছালাম, পিএফজি সদস্য পাপু রানী সুত্রধর, আজিজুল ইসলাম হৃদয়, পিস ইয়ুথ কো-অর্ডিনেটর মিজানুর রহমান মিজান প্রমূখ। বিজ্ঞপ্তি