ব্যবস্থাপক নাজিম ও অফিস সহকারী রিপনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউএনও বরাবর এলাকাবাসীর অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকাবাসী। তারা শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে এলাকাবাসী বলেন- আমরা জগন্নাথপুর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের পাশেই আমাদের বাড়ি। শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা এলাকাবাসী সরকার নির্ধারিত মূল্যে হাঁসের ডিম ক্রয় করি। কিন্তু ২০১৬ সালে অফিস সহকারী রকিবুল হাসান রিপনের যোগদানের পর থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিম বিক্রি না করে রাতের আধারে উচ্চ মূল্যে ডিম বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। এছাড়াও ০৭/০৩/২০২২ তারিখে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থে কেই মোঃ নাজিম উদ্দীন অফিস সহকারী রিপনের যোগসাজসে দুর্নীতি ও অনিয়ম করে সরকারী অর্থ লোপাট করছেন। এই খামারের ব্যবস্থাপক হিসেবে নাজিম উদ্দীন যোগদানের পর থেকে সরকারের বেধে দেওয়া ৩২ টাকা মূল্যে একটি ডিমও জনগণের কাছে বিক্রি করেননি। সেই ডিম রাতের আঁধারে উচ্চ মূল্যে বাইরে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও হাঁস প্রতিপালন করা সত্বেও অধিদপ্তরকে হাঁসের অর্জন শূন্য দেখিয়ে বিপরীতে বরাদ্দ আত্মসাৎ, উৎপাদিত হাঁসের বাচ্চা স্থানীয়দের কাছে বিক্রি না করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করছেন। এছাড়াও কোন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা না করেও ভূয়া ভাউচার দিয়ে প্রশিক্ষণের ভাতা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানালে তারা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। অফিস সহকারী রিপন মিয়া ২০১৬ সাল থেকে একই স্থানে ৮ বছর ধরে চাকুরী করায় প্রভাব বিস্তার, রাতের আঁধারে ডিম, পোল্ট্রি ফিড ও হাঁস বিক্রি সহ নানা অনিয়মের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এতে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দীন। এছাড়াও রিপন ভেটেরিনারি চিকিৎসক না হয়েও নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে অফিস ফাঁকি দিয়ে গরু ছাগলের অপচিকিৎসা করছেন। তার এই অপকর্মে সহযোগিতা করছেন খোদ ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দীন। এ নিয়ে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তাদের এহেন কর্মকান্ডে প্রাণিসম্পদ অফিসের কার্যক্রম নিয়ে মানুষের মাঝে বিরূপ ধারণা জন্মাচ্ছে। এমতাবস্থায় শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের দুর্নীতি-অনিয়ম অনুসন্ধান করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
অভিযোগে এলাকাবাসী বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নাজিম উদ্দীন ও রকিবুল হাসান রিপনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান।