শিক্ষা কর্মকর্তার এমন কর্মকা-ের প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার শাস্তি দাবি করেছেন নাগরিক সমাজ

সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাইয়ে হিজাব পরায় শিক্ষা কর্মক র্তার হেনস্থা ও অশালীন মন্তব্যের শিকার হয়েছেন এক স্কুল শিক্ষিকা। অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তার নাম মাহমুদুল হক। তিনি লাখাই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। হেনস্থার শিকার ওই শিক্ষিকার নাম নার্গিস আক্তার (মাহবুবা নার্গিস)। তিনি উপজেলার ধনাই মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
ঘটনার পর থেকে বিষয়টি উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার এমন কর্মকা-ের প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা জানান, চিকিৎসাকালীন ছুটি নেওয়ার জন্য তিনি শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে যান। সেখানে শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক তার সঙ্গে খুব বাজে ব্যবহার করেন। কারণ তিনি পর্দায় আবৃত ছিলেন এবং পর্দা করে চলেন। একপর্যায়ে অফিসে ওই কর্মকর্তা তাকে মুখ খুলতে জোর করলে তিনি বাঁধা দেন। এসময় ওই কর্মকর্তা ওই শিক্ষিকাকে প্রশ্ন করেন- কোথায় এমন কথা বলা আছে যে, এভাবে পর্দা করতে হবে? ইসলামে এসব নাই। চাকরি করলে এভাবে চলতে পারবে না। মুখ খুলতেই হবে। প্রতিউত্তরে ওই শিক্ষিকা বাচ্চাদের সামনে মুখ খুলেই ক্লাস করেন জানালে তিনি আরও খারাপ আচরণ করেন।
বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বামী ও স্বজনরা।
স্ট্যাটাসে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পর্দানশীন নারীদের হেনস্থা করছেন শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হক। হিজাব পরিহিত নারীরা কোন কারণে অফিসে গেলে তিনি তাদেরকে হিজাব খুলতে বাধ্য করেন। এমনকি পরিদর্শনে বিভিন্ন স্কুলে গেলেও সেখানে মুখ ঢেকে রাখা মহিলাদের নানাভাবে মুখ খুলতে বাধ্য করতেন।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বলেন- এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ডেকেছি। উনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।