সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুর ॥ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দোকানের সামনে ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মুখে এলোমেলোভাবে গড়ে উঠেছে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক টমটম স্ট্যান্ড। ভোগান্তিতে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা।
শায়েস্তাগঞ্জ একটি ব্যস্ততম প্রথম শ্রেণির পৌর শহর। এই শহরের পাশ ঘেষে বয়ে গেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। তবে মহাসড়কের দেউন্দি রাস্তা মোড় থেকে দাউদনগর বাজার ট্রলি সড়ক মোড় হয়ে রেলওয়ে জংশন, থানা রোড, পুরান বাজার রোড এবং হবিগঞ্জ জেলা সদর রোড প্রবেশদ্বার হওয়ায় এই পৌর শহরের গুরুত্ব বেশি। এই শহরে তিনটি হাটবাজার রয়েছে কিন্তু বিভিন্ন দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা আসা-যাওয়া করে বিভিন্ন যাত্রীবাহী যানবাহন দিয়ে। পৌর শহরের দাউদনগর বাজার হাসপাতাল সড়কে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দাউদনগর বাজার তৎকালীন বাগানের ট্রলি সড়ক মোড় থেকে হাসপাতাল সড়কের একদিকে উপজেলা ডাকঘর অফিসের পাকা দেয়াল ঘেষে দোকানপাঠ না থাকায় শতাধিক ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক টমটম স্ট্যান্ড হিসেবে বেছে নিয়েছে এবং এখানে যাত্রী উঠানামা করে। অপরদিকে দাউদনগর বাজারে হাসপাতাল সড়কের এক পাশে অর্ধশতাধিক বিভিন্ন দোকানপাঠ সহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রবেশ মুখ। এসব পাইকারি ও খুচরা দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ও স্কুলের মুখে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলোমেলোভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক টমটম। ব্যবসায়ীরা দোকানের সামনে টমটম সরানোর কথা বললেও চালকরা শুনেন না। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও কোনো নজরদারি নেই।
এক শ্রেণির প্রভাবশালী লোকেরা প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা কামাই করছে কিন্তু প্রতিবাদ করার কেউ নেই। প্রতিদিন হাসপাতাল সড়কের সামনে টমটমের কাছ থেকে ১০ টাকা করে আদায় করা হয়। এ সড়কের উভয় পাশে টমটম থাকায় যানজট সৃষ্টি সহ ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
হাসপাতাল সড়কের প্রবীন ব্যবসায়ী জিতু মিয়া বলেন, হাসপাতালের দক্ষিণ দিকে অনেক জায়গা আছে কিন্তু এদিকে দোকান পাঠ খুবই কম। যেদিকে দোকান পাঠ ব্যবসা হয় টমটম চালকরা এলাকার ক্ষমতা দাপট আবার কেউ আছে প্রভাবশালী দাপট দেখিয়ে দোকান পাঠের সামনে টমটম রাখা হয়। হাসপাতাল সড়কে দোকানের সামন ও স্কুলের মুখ থেকে ব্যাটারী চালিত টমটম সরানোর জন্য সেনাবাহিনী, প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা।