স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলায় এবার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৭২ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ১ জুন জেলার সকল উপজেলা ও পৌরসভায় এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের সভা কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ নূরুল হক।
তিনি জানান, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪১ হাজার ২৩ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আর ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ১০ হাজার ৮৪৯ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জেলার ১ হাজার ৮৮৬টি স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রে ক্যাম্পেইন সফলের জন্য মাঠে থাকবেন স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠকর্মী ২৬৬ জন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ থেকে ৪৭৭ জন, সিএইচসিপির ২১৫ জন এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে থাকবেন ৩ হাজার ৭৭০ জন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ‘এ’ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুপুষ্টি। ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা থেকে শুরু করে জেরোফথ্যালমিয়ার মতো রোগ হতে পারে যাতে চোখের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ লোপ পেতে পারে। এছাড়া ভিটামিন এ এর অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল বৃদ্ধি পায়, রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয় ও ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সিভিল সার্জন ডা. মোঃ নূরুল হক আরো জানান, ভিটামিন এ ক্যাপসুন শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। এ ক্যাপসুল ভরাপেটে খাওয়ানো ভালো। তবে ৬ মাসের কম বয়সী শিশু ও ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। তাছাড়া ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে এমন শিশুকেও ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। অসুস্থ বা কান্নারত অবস্থায় কিংবা জোর করে শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ভিটামিন এ ক্যাপসুলের মুখ কাচি দিয়ে কেটে ক্যাপসুলের ভেতরের তরল ভিটামিন এ শিশুকে খাওয়াতে হবে। কোন অবস্থাতেই শিশুকে আস্ত বা খোসাসহ ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শরীফ মোহাম্মদ সানজিদ জামান, সিনিয়র স্বাস্থ্য অফিসার কলিম উল্লাহ সিকদারসহ প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।