স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মন্দরী ইউনিয়নের আগুয়া গ্রামে সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়। আহতদেরকে হবিগঞ্জ আড়াইশ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গুরুতর আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- আগুয়া গ্রামের শুকুর মিয়ার পুত্র কাদির মিয়া (৩০), বজলু মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া (৫০) ও মৃত আলী রাজা মিয়ার পুত্র লিলু মিয়া (৪৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরের দিকে আগুয়া বাজারে কাদির মিয়া ও সিএনজি স্ট্যান্ড ম্যানেজার বদির মিয়ার মধ্যে সিরিয়াল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বর্তমান ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া ও পরাজিত ইউপি সদস্য বদির মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাঁকডাক ছেড়ে একে অন্যের উপর ঝাপিয়ে পড়েন। শুরু হয় ভয়াবহ সংঘর্ষ। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই কাদির মিয়া ও সিরাজ মিয়া মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায় লিলু মিয়া। সদর হাসপাতালে হতাহতদের স্বজনদের কান্না ও আহাজারিতে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় অনেকেই জানান, আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা বদির মিয়া এবং ইউপি মেম্বার সোহেল মিয়ার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের বাজারে সিএনজি অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখলকে কেন্দ্র করে তাদের পক্ষের স্ট্যান্ড ম্যানেজার ও অটোরিকশা চালক কাদির মিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।
বানিয়াচং থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আবু হানিফ জানান, বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে নিহতদের ময়না তদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।