মতিউর রহমান মুন্না, গ্রিস থেকে ॥ ইউরোপের দেশ আলবেনিয়া থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে প্রবেশের সময় স্ট্রোক করে হাফিজুর রহমান (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে নিহতের মরদেহ পড়ে আছে আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানার মাদার তেরেসা হাসপাতালের মর্গে। নিহত হাফিজুর রহমান নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ পোস্ট অফিসের অধীনন্থ ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার গোতগাঁও গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র। দেশে থাকাকালিন সময়ে ইনাতগঞ্জ বাজারে সব সময় চলাফেরা ছিল হাফিজুরের। তার মৃত্যুর খবরে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পরিবার মৃহদেহ দেশে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, উন্নত জীবনের আশায় গত ২৯ মার্চ ওর্য়াক পারমিট ভিসা নিয়ে ইউরোপের দেশ কসোভো যান হাফিজুর রহমান। দেশটিতে কিছুদিন অবস্থান করলেও ভাষা ও পরিবেশের সাথে নিজেকে মানাতে পারেননি। তাই ওই দেশ থেকে ইউরোপের আরেক দেশ গ্রিসে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন হাফিজুর। কারণ গ্রিসে রয়েছেন তার ভাই ও অনেক আত্মীয় স্বজন। এরপর কসোভো থেকে আরো কয়েকজন অভিবাসীর সাথে চলে যান সীমান্তবর্তী দেশ আলবেনিয়ায়। আলবেনিয়ায় গিয়ে দুই দিন হোটেলে রাত্রী যাপনের পর গত ২০ এপ্রিল দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে প্রবেশের চেষ্টা করেন হাফিজুরসহ ৫ বাংলাদেশি অভিবাসী। তার সাথে থাকা অন্য অভিবাসীরা জানান, গ্রিস প্রবেশের সময় সীমান্তের পাহাড়ে হিট স্ট্রোক করে মারা যান হাফিজুর। এ সময় দালাল তাকে হাসপাতালে প্রেরণ করে বাকি অভিবাসীদের নিয়ে গ্রিসে চলে যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাফিজুরকে মৃত ঘোষণা করে লাশ মর্গে প্রেরণ করে। গত ২৩ এপ্রিল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে নিহতের পরিবার।
৩০ এপ্রিল সকালে নিহতের ভাই আব্দুর রহমান জানান, অনেক কষ্ট করে ছোট ভাইকে ইউরোপের দেশ কসোভোতে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সে কসোভো থেকে গ্রিসে আসার পথে মারা গেছে। খবরটি আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না। লাশ দেশে পাঠাতে আলবেনিয়া হাসপাতালে যোগাযোগ করছি আমরা। আইনি জটিলতায় এখনো কোন অগ্রগতি নেই।
এ ব্যাপারে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) বিশ্বজিৎ কুমার পাল জানান, নিহতের পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করেছে। আমরা আলবেনিয়ায় যোগাযোগ করছি। লাশ দেশে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।