স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাখাইয়ে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের এমএ জুয়েল রানা ওরফে জুবেল নামে এক মাঠকর্মীর বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গতকাল ৬ অক্টোবর সোমবার লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোছাঃ কারিমা আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে হাঁস, মুরগির খামার স্থাপনে জন্য ৩৫টি বাসস্থানের অনুদান আসলে ৩৫ জন মহিলা সদস্যের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। উক্ত সদস্যগণের প্রত্যেকের নিজ নিজ নামে কৃষি ব্যাংক লাখাই শাখায় একাউন্ট খোলা হয়। পরবর্তীতে প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার পর হাঁস মুরগির খামার নির্মাণের জন্য প্রত্যেক সদস্যগণের একাউন্টে ২০ হাজার টাকা করে আসে। সমুদয় টাকা উক্ত প্রকল্পের মাঠকর্মী এম.এ জুয়েল রানা ওরফে জুবেল প্রত্যেক সদস্যের নিকট হইতে চেক সংগ্রহ করে ৩৫ জন সদস্যের সমস্ত টাকা নিজে ব্যাংক হতে উত্তোলন করে খামার নির্মাণের জন্য প্রত্যেক সদস্যের নিকট হতে খরচ বাবদ ১৮ হাজার টাকা নিজের কাছে রেখে পরবর্তীতে প্রত্যেক সদস্যকে ২ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। কিন্তু আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ মিস্তীর নিকট হতে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্নভাবে যাচাই করে জানতে পারি যে, উক্ত খামার নির্মাণের জন্য সর্বমোট ৯ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট টাকা প্রত্যেক সদস্যকে ফেরত না দিয়ে মাঠ কর্মী এম.এ জুয়েল রানা ওরফে জুবেল তার নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন। এমনকি উক্ত প্রকল্পের ৩৫টি খামারের মধ্যে ৪টি খামারের নাম মাঠ কর্মী তার নিজের পরিবারের সদস্য গণের নামে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং খামার ৪টি এখনও স্থাপন করা হয়নি। পুরো টাকাই তিনি নিজে আত্মসাত করেছেন। আরও জানা যায় যে, উক্ত প্রকল্পের আরও ৪ জন মহিলা সদস্যের খামার এখনও নির্মাণ করা হয়নি এবং তাদের প্রাপ্য টাকা তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। পুরো টাকাই মাঠ কর্মী নিজে আত্মসাত করেছেন।
ভুক্তভোগী মোছাঃ কারিমা আক্তার বলেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের মাঠ কর্মী এম.এ জুয়েল রানা ওরফে জুবেলের বিরুদ্ধে এবং উক্ত প্রকল্পের সদস্যগণের প্রাপ্য টাকা উদ্ধার পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন ককরছি।
অভিযুক্ত এম এ জুয়েল রানা বলেন, বাসস্থান তৈরির জন্য ১৮ হাজার টাকা করে টেন্ডার নিছি সে সময়কার উপজেলা প্রাণিজ সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ শাহাদাত হোসেনের কাছ থেকে। আমি সিস্টেম অনুযায়ী কাজ করেছি, প্রতি বাসস্থান তৈরিতে ১৮ হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হয়েছে, এছাড়াও প্রকল্পের স্ব স্ব সদস্যদের উপস্থিতিতে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে এবং আমি কোন টাকা আত্মসাত করিনি।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান অভিযোগটি আজ (৬ নভেম্বর) আমার দপ্তরে এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।