জুমার খুৎবায় মাওলানা মামুনুর রশিদ

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ছোট বহুলা পশ্চিম জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মাওলানা মামুনুর রশিদ বলেছেন- আল্লাহ পাক মানুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অসুস্থতা দিয়ে, দুর্ঘটনা দিয়ে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিয়ে। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে আল্লাহ পাক তার পছন্দের বান্দাদের পৃথক করতে চান, কারা ধৈর্য্যশীল তাদেরকে চিহ্নিত করতে চান। অসুস্থতার জন্য, দুর্ঘটনার জন্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে দায়ী করা যাবে না। আল্লাহর পক্ষ থেকে এসব বিপদ আসে, ধৈর্য্যরে সাথে আল্লাহর কাছে এসব বিপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য দোয়া করলে আল্লাহ সেই দোয়া কবুলও করেন। যদি কোনো ঈমানদার বিপদ আপদে ধৈর্য্যধারণ করেন তাহলে সেটা ঈমানদার ব্যক্তির জন্য নাজাতের ওসিলা হতে পারে। অনেক সময় আমরা বলে ফেলি আমি নামাজ পড়ি, রোযা রাখি, সুদ খাইনা, ঘুষ খাইনা, খারাপ কাজ করিনা অথচ সব বিপদ আপদ অসুস্থতা দুর্ঘটনা আমার জন্য, অন্যদিকে অমুক নামাজ পড়ে না, রোযা রাখেনা, সুদ খায় ঘুষ খায় তার অসুখও হয়না, দুর্ঘটনাও হয় না। যারা এসব কথা বলে তাদের ঈমানে ঘাটতি আছে। আল্লাহ কাকে কিভাবে পরীক্ষা করবেন তা একান্তই আল্লাহর বিষয়। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সবুরের সাথে দোয়া করা। ঈমানদারদেরকে রোগ বালাই দিয়ে পরীক্ষা করার অর্থ হচ্ছে- আল্লাহ তার গোনাহ মাফ করাতে চান, আর বেঈমানদেরকে রোগ বালাই না দিয়ে পরীক্ষা করার অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তাকে আরও সুযোগ দিতে চান। সেই সুযোগের হাতছাড়া করলে আল্লাহ পাক একেবারেই কঠিন শাস্তি দিয়ে তাকে উচিৎ শিক্ষা দেবেন। সেই উচিৎ শিক্ষা হচ্ছে মৃত্যুর পর কঠিন আযাব। আমরা সেই কঠিন আযাব থেকে রক্ষা পেতে চাই। মাওলানা মামুনুর রশিদ বলেন- অতি খরা, অতি বন্যা, ফসল না হওয়া, ফসল বেশি হওয়া সবকিছুতে আল্লাহর মুজিযা রয়েছে। কাউকে আল্লাহ সন্তান দিয়ে পরীক্ষা করেন, কাউকে সন্তান না দিয়ে পরীক্ষা করেন, কাউকে সুস্থ জীবন দিয়ে পরীক্ষা করেন, কাউকে অসুস্থতা দিয়ে পরীক্ষা করেন। যে কোনো পরিস্থিতিতে নামাজ ত্যাগ করা যাবে না। কোনো অযুহাতে মসজিদ বিমুখ হওয়া যাবে না। ৩৩ মিনিটের জুমার খুৎবায় মাওলানা মামুনুর রশিদ সকলকে ধৈর্য সহকারে ইসলামের বিধি বিধান পালনের জন্য আহবান জানান।