খুনে জড়িত দুই জন গ্রেফতার ॥ একজনের স্বীকারোক্তি
আবুল কালাম আজাদ, চুনারুঘাট থেকে ॥ হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড় থেকে উদ্ধার হওয়া মিশুক চালক নাঈম হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। পুলিশ ওই মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করলে এক আসামী শুক্রবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল হালিম এর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।
চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদ আহমেদ জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে কটিয়াদি-ধুলিয়াখাল সড়কে মিশুক চালাতে এসে নিখোঁজ হয় নাঈম মিয়া। গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড় থেকে নাঈমের গলাকাটা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে চুনারুঘাট থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নাঈমের বাবা নিদন মিয়া। পরে পুলিশ ওলিপুর সিটিপার্কের সামন থেকে নাঈমের মিশুকটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মিশুকটির ব্যাটারি পাওয়া যায়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর গ্রামের মৃত মিঠু মিয়ার ছেলে সবুর মিয়া (৩৫)কে চোরাই ব্যাটারীসহ এবং হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শরীফপুর গ্রামের মর্তুজ আলীর ছেলে কামাল মিয়া (১৭)কে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে কামাল মিয়া স্বীকার করে যে, সে হত্যাকারীদের সাথে ছিল এবং মিশুকের ব্যাটারী সবুর মিয়ার নিকট বিক্রির সময় সাথে ছিল। কিন্তু তার বয়স কম হওয়ায় আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেননি। সবুর মিয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে চোরাই ব্যাটারী ক্রয়ের কথা স্বীকার করে।
ওসি আরও জানান, তোফাজ্জল নামে একজন সাক্ষীকে আদালতে জবানবন্দি প্রদানের জন্য হাজির করা হলেও তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়নি। তাকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করা হবে। প্রধান আসামীর নাম পাওয়া গেলেও তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাবে না।