আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে চুনারুঘাট পৌরসভা নির্বাচন ॥ মেয়র পদে বিএনপির ১ আর আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী ৫ জন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ চতুর্থ ধাপের পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভা নির্বাচন ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভোট হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। রবিবার নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মোঃ আলমগীর চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করেন। চতুর্থ ধাপের ভোটে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে। বাছাই করা হবে ১৯ জানুয়ারি। ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ রাখা হয়েছে।
চতুর্থ ধাপের পৌর নির্বাচনে রয়েছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার নাম। তাই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর পরই সম্ভাব্য প্রার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ পৌর নাগরিকদের মাঝেও শুরু হয়ে গেছে আলোচনা।
এবার চুনারুঘাট পৌরসভায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নাম জানা গেলেও অন্য কোন দলের প্রার্থীদের কোন রকম প্রচার প্রচারণা লক্ষ্য করা যায়নি। গতকাল রবিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মোঃ নাজিম উদ্দিন শামছুর নাম জানা গেছে। সাধারণ ভোটারদের ধারণা এবার তিনিই হবেন বিএনপির একক প্রার্থী। তবে ব্যতিক্রম ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে। চুনারুঘাট পৌরসভায় এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ৫ প্রার্থীর নাম জানা গেছে। প্রার্থীরা হলেন- যুবলীগ নেতা সাইফুল আলম রুবেল, ’৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতা ও ১৯৯৫ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাথী মুক্তাদির কৃষাণ চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বজলুর রশিদ দুলাল, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম ও চুনারুঘাট পৌর যুবলীগের আহবায়ক নাজমুল ইসলাম বকুল। প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন যুবলীগ নেতা সাইফুল আলম রুবেল। তিনি ২০১৪ সালের উপনির্বাচন এবং ২০১৫ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০১৫ সালে তিনি বিএনপির প্রার্থীর সাথে মাত্র ১৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
এদিকে গত ৮ ডিসেম্বর চুনারুঘাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাথী মুক্তাদির কৃষাণ চৌধুরী, বজলুর রশীদ দুলাল, নাজমুল ইসলাম বকুল ও মোঃ শহীদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৫ জনের নামের তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণ করা হলেও সেখানে সাইফুল ইসলাম রুবেলকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দিতে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। সাইফুল ইসলাম রুবেল চুনারুঘাট উপজেলার আলোচিত ব্যবসায়ী আকল মিয়া হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির প্রেক্ষিতে গ্রেফতার হন। পরে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাবে রিমান্ড থেকে রেহাই পান। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাইফুল ইসলাম রুবেল নৌকার পক্ষে কাজ না করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু তাহেরের আনারস প্রতীকের পক্ষে কাজ করেন। এ অপরাধে তাকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করা হলেও কেন্দ্রে প্রেরণকৃত তালিকায় তাকে উপজেলা যুবলীগের সদস্য উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের হিসেবে চুনারুঘাট পৌরসভা নির্বাচন ঝুঁঁকিপূর্ণ। তাই এ পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।