পইল গ্রামে যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে প্রধান আসামির স্বীকারোক্তি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামে যুবতীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এদিকে ওই মামলার আরও দুই আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। গত রবিবার রাতে সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পইল পশ্চিম পাড়া থেকে প্রধান আসামি আঞ্জব আলীকে (৩৮) আটক করে। সে আব্দুর রহমানের পুত্র। গতকাল সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল-১ আদালতে তাকে হাজির করলে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে যুবতীকে গণধর্ষণ করেছে বলে জানায়। তার সাথে আরও দুইজন ছিল বলেও সে স্বীকার করে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তাদের নাম প্রকাশ করছে না। জবানবন্দি শেষে লম্পট আঞ্জব আলীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চন্দ্রনিয়া গ্রামের এক যুবতীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে উজ্জল নামের এক যুবক আঞ্জব আলীর বাড়ি নিয়ে আসে। ওইদিন সন্ধ্যায় দেবপাড়া হাসিম ডাক্তারের পরিত্যক্ত বাড়িতে তিন বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি ওই যুবতী তার আত্মীয় স্বজনকে জানালে পরদিন তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়। এরপর এ প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে হাসপাতালে তার জবানবন্দি শুনে ২৬ ডিসেম্বর সংবাদ প্রকাশ করলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। পরে পুলিশ মামলা গ্রহণ করে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মাসুক আলী বলেন, প্রধান আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।