জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ র‌্যাব পুলিশ বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন
কামরুল হাসান ॥ আজ শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন হয় সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। নির্বাচনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান। নির্বাচনে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরবাসী প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট প্রদান করবেন। তাই সচেতন ভোটারদের মধ্যে কিছুটা আমেজ অনুভব হলেও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিপত্তির আশঙ্কা। ভোটের দুই দিন আগে প্রতিটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক মেশিনে ভোট দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ করা হবে।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে জানান, ইভিএমে ভোট দান স্বচ্ছ এবং সহজ। নির্ভূলভাবে ভোট গ্রহণের সঠিক মাধ্যম এটি। জাল ভোট কিংবা কারচুপি করার কোন সুযোগ নেই ইভিএমে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ খুবই ভালো। এখানে ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র নেই, তবে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রকে অতিগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এই পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী বেশি হওয়ায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুরো পৌরসভার জন্য একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি র‌্যাবও আইন শৃংখলার দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরো জানান- মেয়র পদের জন্য একটি ইভিএম, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট দেওয়ার জন্য আরেকটি ইভিএম এবং শেষটি থাকবে সংরক্ষিত আসনের নারী প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য। এখানে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ভুল না করলে ভোট দেওয়া সহজ, প্রতিটি মেশিনে প্রার্থীর নাম ও প্রতীক দেওয়া থাকবে, ভোটার যাকে ভোট দিতে চান তার প্রতীকের বাম পাশের সাদা রঙের বাটনে একবার চাপ দিতে হবে। এসময় প্রতীকের পাশে বাতি জ্বলে উঠবে। ভোট নিশ্চিত করতে ডানপাশের সবুজ বাটনে চাপ দিতে হবে। একই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য পদের জন্যও ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তবে বিপত্তি বাঁধবে ভোটার যদি সঠিক প্রার্থী ও প্রতীক নির্বাচনে ভুল করে ফেলেন তখন।
এই পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৩৫ জন। তন্মধ্যে মহিলা ভোটার ৯হাজার ১৭৫ জন ও পুরুষ ভোটার ৮হাজার ৮৬০ জন। ইভিএমমে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন ১১ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৪৭ জন সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার ও ৯৬ জন পোলিং অফিসার।