স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচঙ্গের গুনই গ্রামে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে আকাশ মিয়া নামে এক যুবককে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে মেয়েটি জানিয়েছে আকাশ তাকে অপহরণ করেনি সে স্বেচ্ছায় প্রেমের টানে তার সাথে পালিয়েছিল।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গুনই গ্রামের নূরুল ইসলামের কন্যা বড়ইউড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে একই গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে আকাশ এর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। দিন দিন এ প্রেমের সম্পর্ক গভীরে রূপ নেয়। এর মধ্যে তারা দু’জন একে অন্যকে কাছে পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠে। আকাশের পক্ষ থেকে মেয়েটির বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালে মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার মা-বাবাসহ পরিবারের লোকজন বিয়েতে রাজি হননি। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে প্রেমিকযুগল। গত ১০ ডিসেম্বর তারা দু’জন এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যায়। ঢাকা থেকে সোমবার হবিগঞ্জে চলে আসে। বিকেলে তারা শহরের আধুনিক স্টেডিয়াম এলাকায় ঘুরাফেরা করাকালে বানিয়াচং থানা পুলিশ হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় উভয়কে আটক করে। আটক হওয়ার পর প্রথমে উভয় পরিবারের সদস্যরা সমঝোতার মাধ্যমে অর্থাৎ বিয়ের মাধ্যমে দু’জনকে ছাড়িয়ে নেয়ার আলাপ-আলোচনা শুরু করলেও তা সফল হয়নি। মঙ্গলবার মেয়ের পিতা বানিয়াচং থানায় আকাশসহ ৩জনকে আসামী করে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন- ফয়সল মিয়া ও কালাম মিয়া। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন তার মেয়েকে অপহরণ করে ঢাকায় হোটেলে রেখে আকাশ তার সহযোগিদের সহায়তায় ধর্ষণ করেছে। গতকাল বিকেলে আকাশ ও মেয়েটিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে মেয়েটি জানায়, সে স্বেচ্ছায় আকাশের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় আদালত মেয়েটিকে তার মা-বাবার জিম্মায় দেন এবং আকাশকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরান হোসেন জানান, মেয়েটির বাবা আটককৃত আকাশসহ তার ৩ সহযোগির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামী হিসেবে আকাশকে আদালতে প্রেরণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং মেয়েটিকে তার বাবার জিম্মায় দিয়ে দেন।