স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের খোয়াই হাসপাতালের মালিকানা নিয়ে বিরোধটি দীর্ঘদিন পর নিষ্পত্তি হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল ইসলামের মধ্যস্থতায় গত ১৩ ডিসেম্বর তাঁর কার্যালয়ে এক সালিশে বিরোধটি নিষ্পত্তি হয়।
সূত্র জানায়, শহরের সবুজবাগ এলাকায় অবস্থিত খোয়াই হাসপাতালের লভ্যাংশকে কেন্দ্র করে মালিকদের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য হাসপাতালের পরিচালক সোহেল মিয়া, মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও আব্দুল আহাদ আনসারী বাদী হয়ে আমিনুল হক খান ও তারেক আজিজের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। তারা হাসপাতালের লভ্যাংশ নিয়ে মালিকদের দ্বন্দ্বের অবসানের জন্য পুলিশ সুপারের কাছে অনুরোধ করেন।
পুলিশ সুপার উক্ত অভিযোগটি নিষ্পত্তির জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গত ১৩ ডিসেম্বর উভয়পক্ষকে তাঁর কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী খোয়াই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে যা লাভ হতো, তা তারা সমান ভাগে ভাগ করে নিয়েছেন। কিন্তু গত কয়েক মাস থেকে উক্ত হাসপাতালের লভ্যাংশকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। মালিক পক্ষদের মধ্যে বিরোধের ফলে হাসপাতালের কর্মীদের বেতন বন্ধ থাকে। বিবাদী পক্ষের ভাষ্যমতে করোনা মহামারীর কারণে তাদের হাসপাতালে ২৫ লক্ষ টাকার লোকসান হয়। এই লোকসান কাটিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে। এই লোকসানের কারণে হাসপাতাল থেকে লাভের অংশটুকু মালিক পক্ষদেরকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
দীর্ঘ ১০ ঘন্টা শুনানীর পর উভয়পক্ষের সিদ্ধান্ত হয়- বিনিয়োগের টাকার হিসাব, লোকসানের হিসাব এবং লভ্যাংশের টাকা হিসাব করে বাদীপক্ষের বিনিয়োগ এর টাকা আমিনুল হক খান এবং তারেক আজিজ খান বুঝিয়ে দিবেন। উভয়পক্ষ দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ থাকা হাসপাতালের কর্মীদের বেতন পরিশোধ করবেন। হাসপাতালের যে ২৫ লক্ষ টাকার লোকসান হয়েছে সেটি উভয়পক্ষ বহন করবেন।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে উভয়পক্ষ কয়েকবার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুরুব্বিদেরকে নিয়ে মিমাংসার জন্য বসলেও বিষয়টি সমাধান হয়নি। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ শুনানি শেষে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধটি নিষ্পত্তি করে দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রবিউল ইসলাম।