এসএম সুরুজ আলী ॥ বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ খুনের ৫ মাসের মাথায় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও গানবোট (জুতা) উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় বাগহাতা ফুটবল মাঠের পাশে একটি পুকুর থেকে মোবাইল ফোন ও গানবোটটি উদ্ধার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন কাগাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী। তিনি জানান- সন্ধ্যা ৭টার দিকে এলাকার লোকজন আমাকে সংবাদ দেন নিহত ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফের মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে আমি সেখানে গিয়ে তার আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হই সেটি আব্দুর রউফ এর মোবাইল ফোন। তিনি বলেন- মোবাইল ফোনটি জুতার ভিতরে ছিল। পরে আব্দুর রউফ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ ডিবি’র এসআই রকিবুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ও গানবোট আমার কাছে রাখার কথা বলেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১০ জুলাই দিবাগত রাতে আব্দুর রউফ বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পায়নি। পরদিন সকালে জোয়াইল্লা নদীর তীরে বাগাহাতা ফুটবল মাঠে নিহত রউফের লাশ এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে তার লাশের দাফন সম্পন্ন করা হয়। ঘটনার পর পরই আব্দুর রউফের মা দাবি করে আসছিলেন পারিবারিক বিরোধ ছিল প্রতিবেশীদের সাথে, এই কারণে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত আব্দুর রউফের মা। নিহত ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রউফ (২৬) বাগাহাতা গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র।