স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের মরা কুশিয়ারা নদীতে ‘পাটিভান’ দিয়ে নৌকা চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে হাওরে জমিতে সার দেয়ার জন্য ও সেচের যন্ত্রপাতিসহ পণ্যবাহী নৌকা নিয়ে নদীর উপর দিয়ে চলাচল করতে না পারছেন না ১৫টি গ্রামের কৃষকরা। এ নিয়ে এলাকার কৃষকদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, কাগাপাশা গ্রামের মরা কুশিয়ারা নদীর সংলগ্ন ইউসুফপুর মৌজার ৮৫১ দাগের জলমহালটি সরকারের কাছ থেকে নিলাম নেন ওই গ্রামের কামাল চৌধুরী ও কাওছার চৌধুরী। সম্প্রতি হেমলিপ প্রকল্পের সদস্য গাংপাড় এলাকার বাসিন্দা দোলন সরকারের নেতৃত্বে ইউসুফপুর গ্রামের শরিয়াত উল্ল্যা, আল-আমিন, ফজর আলী, সোহেল মিয়া ও মাজু মিয়া গং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জলমহালের লাগানো দল কাটা জোরপূর্বক অপসারণ করেন এবং জনসাধারণের উন্মুক্ত নদীতে ‘পাটিভান’ দিয়ে জোরপূর্বক মাছ শিকার করেন। এতে নদী দিয়ে নৌকা চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে এলাকার ১৫টি গ্রামের কৃষকরা নদীর উপর দিয়ে নৌকা নিয়ে চলাচল করতে পারছেন না। ফলে হাওরে জমিতে সার দেয়া ও সেচের যন্ত্রপাতিসহ স্থানীয় বাজার থেকে ভারী পণ্য ক্রয় করে আনতে পারছেন না। এ পরিস্থিতিতে কৃষককদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ক্ষোভের বহিপ্রকাশ হিসেবে যে কোন সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এদিকে সরকারের নিলামকৃত জলমহালে দোলন, আল-আমিন, শরীয়ত উল্ল্যাহ কাটা অপসারণ করার ঘটনায় বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কামাল চৌধুরী ও কাওছার চৌধুরী। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্তের জন্য সহকারি কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দেন।