স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রেমিকাকে ধর্ষণের মামলায় কারাবন্দী তরুণ আইনজীবী আবুল খায়ের আজাদ উজ্জলের জামিন আবারও নামঞ্জুর করেছেন বিচারক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সুদীপ্ত দাশের আদালতে তার জামিন আবেদন করা হলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে তাকে কারাগার থেকে ওই কোর্টে আনা হয়। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার হালিতলা গ্রামের আব্দুল কদ্দুছ আজাদের পুত্র।
প্রসঙ্গত, উজ্জল হবিগঞ্জ শহরের হরিপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে হবিগঞ্জ কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। এক বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় হবিগঞ্জ শহরের নোয়াগাও এলাকার মংলা মিয়ার কন্যা হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী (২৫) এর সাথে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠে। উজ্জল তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং জীবন সঙ্গী করে নেয়ার অঙ্গীকার করে। এ কারণে তাদের সম্পর্ক গভীর থেকে আরো গভীরে চলে যায়। বিভিন্ন ফাস্টফুট ও রেস্টুরেন্ট গিয়ে খাওয়া দাওয়া এবং যৌথ ছবি ধারণ করেন তারা।
২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর শহরের মোহনপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন উজ্জল। এছাড়াও একই প্রলোভনে তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্ত:স্বত্ত্বা হয়ে পড়লে হবিগঞ্জ শহরের একটি ক্লিনিকে নিয়ে তাকে পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার রিপোর্ট পজেটিভ। পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটান ওই আইনজীবী। পরবর্তীতে ওই আইনজীবীকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। পরে এ ঘটনায় নিরুপায় হয়ে ওই ছাত্রী গত ৭ জানুয়ারি আবুল খায়ের উজ্জলের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ৯ নভেম্বর অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের আজাদ উজ্জল আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক ওইদিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম ও অ্যাডভোকেট মোঃ ইকবাল ভূইয়া এবং আসামীপক্ষে রয়েছেন অ্যাডভোকেট চৌধুরী আশরাফুল বারী নোমান।