স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মীরনগর গ্রামে ৩ সন্তানের জননীকে জবাই করে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন ঘাতক স্বামী ছিদ্দিক আলী। গতকাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। জবানবন্দীতে তিনি উল্লেখ করেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে স্ত্রী মনোয়ারাকে ১৪ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টার দিকে কৌশলে ঘর থেকে বের করেন। পরে তাকে কৌশলে জনৈক আবু লাল এর ধানের জমিতে নিয়ে যান এবং গলায় দা দিয়ে আঘাত করলে মনোয়ারা বেগম ড্রেনে পড়ে যান। তখন ছিদ্দিক আলী দা দিয়ে টান দিয়ে মনোয়ারার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তিনি বাড়িতে চলে আসেন। হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের তথ্য শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করে। পুলিশ জানায়, ছিদ্দিক আলীর স্বীকারোক্তি মতে তার ঘর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ নভেম্বর মীরনগরের জনৈক আবু লাল এর ধানের জমিতে ড্রেনের মধ্যে মনোয়ারা বেগমের গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। এদিকে মনোয়ারার ভাই মোঃ খালেক মিয়া ১৬ নভেম্বর মনোয়ারার স্বামী ছিদ্দিক আলীকে প্রধান আসামী করে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম ব্যাপক তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মনোয়ারার স্বামী ছিদ্দিক আলীকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে স্ত্রী মনোয়ারাকে রাত ১২টার দিকে কৌশলে ঘর থেকে বের করে আবু লাল এর ধানের জমিতে নিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে জমিতে লাশ ফেলে রাখে।