চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটের সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অবৈধ গরুর হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি মহল। এতে একদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব, অন্যদিকে অধিক মূল্যে লিজ নিয়ে ক্ষতির সম্মুখিন প্রকৃত লিজকারীরা। এ বিষয়ে সরকারি বিভিন্ন মহলে আবেদন নিবেদন করেও ফল পাচ্ছেন না লিজ গ্রহীতারা।
জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার জন্য ২টি গরুর বাজার এবং ১টি ছাগলের বাজার সরকারি ভাবে ১ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়। এর মধ্যে চুনারুঘাট সদর গরুর বাজার ২৭ লাখ টাকা, আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের আমুরোড গরুর বাজার ৮৬ লাখ টাকা এবং দেওরগাছ ইউনিয়নের চান্দপুর ছাগল বাজারটি ৩৫ লাখ টাকায় লিজ দেওয়া হয়। গত ঈদুল আযহা উপলক্ষে জনগণের সুবিধার্থে অস্থায়ীভাবে ৮টি গরুর বাজার বসানোর অনুমোদন দেয় প্রশাসন। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল ঈদুল আযহার পর থেকে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোন প্রকার অনুমতি কিংবা লিজ ছাড়াই রানীগাঁও বাজার, শাকিরমোহাম্মদ বাজার, জলিলপুর (ভোলারজুম) বাজারে প্রতি সপ্তাহে গরুর হাট ও আসাম পাড়া বাজারে ছাগলের হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে স্বল্প মূল্যে গরুর রশিদ দেওয়া হয়। ওই বাজারগুলোতে গরুর হাট বসানোর কারণে লিজে দেওয়া চুনারুঘাট বাজার ও আমুরোড গরুর হাটে গরু ক্রেতা বিক্রেতারা আসতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এতে বিপুল টাকা দিয়ে ওই দুটি গরুর হাট লিজ গ্রহীতারা ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। ইতিপূর্বে চুনারুঘাট সরকারি গরুর বাজারের লিজ গ্রহীতা ফুল মিয়া ও আমুরোড সরকারি গরুর বাজারের লিজ গ্রহীতা মাসুদুল কবির অবৈধ গরুর বাজারগুলো বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন। অন্যদিকে উপজেলা পরিষদের মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় এসব অবৈধ গরুর বাজার বন্ধের জন্য দাবি জানানো হলেও অজ্ঞাত কারণে এগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না। অবিলম্বে অবৈধ গরুর বাজারগুলো বন্ধের জন্য লিজ গ্রহীতারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।