হবিগঞ্জে যুব ওলামা ঐক্য পরিষদের সেমিনারে বক্তাগণ
যুব উলামা ঐক্য পরিষদ হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে হেযবুত তওহীদের মুখোশ উন্মোচক বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ইউড়ি নাবিলা কমিউনিটি সেন্টারে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। যুব উলামা ঐক্য পরিষদ হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদ খান ত্বহার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা আরিফ রব্বানী খান ও মাওলানা মাহফুজের যৌথ পরিচালানায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আটাশ পঞ্চায়েতের সভাপতি ও জামেয়া রায়ধরের মুহতামিম মাওলানা আবু সালেহ সাদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুফতি সিরাজুল ইসলাম মিরপুরী, মাআরিফুল কুরআন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা লোকমান সাদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম, গোপায়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, ব্যকস সভাপতি মোঃ শামছুল হুদা, যুব উলামার কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মাওলানা জাবের আল হুদা চৌধুরী, সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা নিয়াজুর রহমান নিজাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকারিয়া চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা নোমান আহমদ, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুফতী মুহসিন আহমদ, সদস্য মাওলানা আব্দুর রহমান, পৌর সভাপতি মুফতি আুব হুরায়রা মাসুম, সেক্রেটারী মুফতী জুলকারনাইন, লাখাই শাখা সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল্লাহ, সদর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি শেখ শেবুল আহমদ, সদর শাখার সহ-সভাপতি মুফতী সাইদুর রহমান, সদর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মুশাহিদ আহমদ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল বসীর, অর্থ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক।
সেমিনারে সরকারের কালো তালিকাভূক্ত সংগঠন হেযবুত তওহীদের কুরআন হাদীস বিকৃত করে প্রচারিত বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রেফারেন্সসহ তুলে ধরে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাবের আল হুদা চৌধুরী। তিনি বলেন, হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা বায়াজীদ খান পন্নী একজন প্রতিষ্ঠিত রাজাকার ছিলেন। প্রতিষ্ঠাকলীন সময়ে সংগঠনটি তাদের কর্মীদেরকে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিত। এসব কারণে জঙ্গী তৎপরতার অভিযোগে ২০১৫ সনে সরকার সংগঠনটিকে কালো তালিকাভূক্ত করে। এ ছাড়াও সংগঠনটি তাদের প্রচারিত বই পুস্তকে কুরআন হাদীস বিকৃত করে মানুষের ঈমান বিশ্বাস ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, হেযবুত তওহীদ ধর্ম প্রচারের নামে কুরআন হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা করে ধর্মপ্রাণ নারী পুরুষের মধ্যে একটা ধর্মীয় অসন্তোষ ও উত্তেজনা সৃষ্টির কাজে লিপ্ত রয়েছে। এরা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে মুসলমান মনে করে না, তাই সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান বক্তারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি