মোহনপুর মসজিদে জুমার খুৎবায় মুফতি মোস্তাফিজুর আজহারী
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুর দক্ষিণ জামে মসজিদে জুমার খুৎবায় মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান আজহারী বলেছেন- হাশরের দিন প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজের সম্পর্কে এবং তার অধীনস্থদের সম্পর্কে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। একজন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানকে তার নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্র ও তার জনগণ সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। একজন অভিভাবককে তার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। মা বাবাকে সন্তান সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। সন্তান ধর্ষক হলে, সন্তান সন্ত্রাসী হলে এর জবাবদিহি মা বাবাকেই দিতে হবে। এমসি কলেজ হোস্টেলে গণধর্ষণ ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের মা বাবাকে এর দায়দায়িত্ব নিতেই হবে। বরগুনার রিফাত শরিফ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে যদিও দোষীদের ফাঁসির আদেশ হয়েছে, তবুও মিন্নী কিংবা অন্য অপরাধীদের মা বাবারা এর দায় এড়াতে পারেন না। সন্তানকে সুশিক্ষা দেয়া মা বাবার কর্তব্য। কর্তব্যে অবহেলার জবাব অবশ্যই দিতে হবে। কিয়ামতের দিন এমনিতেই কেউ পার পাবে না। মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- লোকমান হাকিম আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলেন। তার কথা পবিত্র কোরআনে স্থান পেয়েছে। তার নামে পবিত্র কোরআনে সূরা নাজিল হয়েছে। সেই লোকমান হাকিম তার ৭ বছরের ছেলেকে প্রথমেই আল্লাহর একত্ববাদ, নামাজ, ন্যায় কথা প্রচারে কি কি বাধা আসতে পারে তা শিক্ষা দিয়েছেন। আর আমরা আমাদের ৭ বছরের সন্তানদেরকে অর্থহীন হাকডুম বাকডুম শেখাই। ইসলাম থেকে বহু দূরে আমরা বসবাস করছি। যেখানে ইসলাম নেই, আদব কায়দার শিক্ষা নেই, আল্লাহর একত্ববাদের শিক্ষা নেই, নামাজ নেই, সেখানে ধর্ষক, খুনি, ডাকাত তৈরি হবে না তো কি তৈরি হবে। যেখানে সন্তানের প্রতি হক আদায় করা হয় না সেখানে বৃদ্ধাশ্রম তৈরী হবে না তো কি তৈরি হবে। তিনি বলেন- দাম্ভিকতা পরিহার করতেই হবে। আমাদের সমাজে যারা ক্ষণিকের দাম্ভিকতা দেখায় তারা আল্লাহর কাছে পিপিলিকার মতোও না। তিনি ইসলামের বাণী প্রচারে নমনীয়তা, ভদ্রতা, সৌজন্যতাবোধ প্রয়োগের আহবান জানিয়ে বলেন- উদ্ভট আওয়াজে ধর্মও প্রচার করা যাবে না। নেচে গেয়ে ওয়াজও করা যাবে না। কারণ এসব ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক।