নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের নবীগঞ্জ-বাহুবলের সংসদ সদস্য কর্তৃক জামে মসজিদের বরাদ্ধকৃত টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মেম্বার এম এ বাছিতের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মির্জা সামছুল আলম নামে এক ব্যাক্তি এনাতাবাদ গ্রামের নবীগঞ্জ-বাহুবলের সংসদ সদস্য কর্তৃক এনাতাবাদ জামে মসজিদের বরাদ্ধকৃত টাকা ইউপি মেম্বার কর্তৃক আত্মসাত হয়েছে মর্মে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় প্রচার হলে আলোচনার সমালোচলনার ঝড় বইছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার রাজিয়া বেগমের মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ-বাহুবলের সংসদ সদস্য কর্তৃক বিশেষ খাত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টিআর) হতে নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়নের এনাতাবাদ গ্রামের এনাতাবাদ জামে মসজিদের নামে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্ধ প্রদান করা হয়। জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা,হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক,হবিগঞ্জের পক্ষে উক্ত এনাতাবাদ জামে মসজিদের নামে ৪০ হাজার টাকার বরাদ্ধকৃত টাকা উত্তোলনের জন্য (১৫-১২-২০১৯) তারিখে ডিওপত্র জারী করা হয়। উক্ত এনাতাবাদ জামে মসজিদের পঞ্চায়েত কমিটির পক্ষে আবেদনকারীগন সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বারকে এনাতাবাদ জামে মসজিদের বরাদ্ধকৃত টাকা উত্তোলনের জন্য বললে তিনি জানান,বর্তমান মেম্বার এম এ বাছিত অফিসকে ভুল বুঝিয়ে মসজিদের নামীয় ৪০ হাজার টাকা তোলে নিয়েছেন। সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার বলেন, অফিসে গিয়ে জানতে পারলাম জনৈক মেম্বার ভূয়া কমিটি দেখিয়ে ও অফিসকে ভূল বুঝিয়ে মসজিদের টাকা মেম্বার বাছিত উত্তোলন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে মেম্বারক জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,ওই মসজিদের নামে কোন টাকা আসে নাই। আমি কোানো টাকা উত্তোলন করিনি। একপর্যায়ে ঐ মসজিদ যে আছে চিনেনা ও জানেনা বলে জানায় ইউপি মেম্বার বাছিত । অথচ প্রাচীনতম শত বছরের একটি পুরাতন জামে মসজিদ নামে এলকায় পরিচিতি আছে। এমনকি মসজিদের পাশেই তার বাপ-দাদার বাড়ি এক সময় ছিল। উক্ত মসজিদের নামে বরাদ্ধকৃত টাকা আত্নসাত করায় এলাকার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের সম্মুখীন হতে পারে এলাকাবাসী ।এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বার বাছিতের সাথে কথা হলে তিনি জানান,টাকা তো এখনো উত্তোলন হয়নি । তাহলে আত্নসাত করবো কিভাবে।এ ব্যপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল দৈনিক আমার হবিগঞ্জকে বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ করছেন মসজিদ পঞ্চায়ত কমিটির লোকজন। আমরা তদন্ত করে মসজিদের নামে বরাদ্দকৃত টাকার আত্মসাতের প্রমান পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com