মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ও জনসচেতনতা বাড়াতে নবীগঞ্জে এবার কঠোর অবস্থানে পুলিশ প্রশাসন। শুক্রবার বিকেলে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় অভিযান চালিয়ে মানুষকে ঘরে ফেরার আহবান জানান এএসপি।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে শহরের নতুন বাজার মোড় থেকে অভিযান শুরু হয়ে ওসমানী রোড, হাসপাতাল রোড, শেরপুর রোড, মধ্য বাজার, থানা পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়া করোনা ভাইরাস আতঙ্কে জনসমাগম এড়ানোর অংশ হিসেবে পুলিশ বাজারে আসা লোকজনকে মাস্ক না পড়ে বের হলে শাস্তি দেয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় মাস্ক ব্যবহার না করায় এবং অহেতুক ঘোরাঘুরির কারণে কয়েকজন লোককে দাঁড় করিয়ে রেখে পরবর্তিতে মাস্ক কিনে নিয়ে ঘরে ফেরার আহবান জানান। করোনা ভাইরাস অতি মাত্রায় ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে বাজার মনিটরিং করার সময় তিনি মূল্য তালিকা বোর্ড যাচাই বাছাই করেন।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আজিজুর রহমান, ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ এটিএম সালাম, নবীগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্না, প্রয়াত সাংবাদিক স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছনি চৌধুরী প্রমূখ। এছাড়াও পুলিশের অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী ব্যবসায়ীদের বলেন- অহেতুক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়াবেন না, দোকানে দোকানে মূল্য তালিকা বেঁধে রাখবেন। কোন দোকানে একাধিক ক্রেতা প্রবেশ করতে পারবে না। মাস্ক না পড়ে যদি কেউ বাহিরে আসে তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে। হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে যদি কেউ বাহিরে চলাফেরা করেন তাৎক্ষনিক বিষয়টি প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ করেন। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার আহবান জানান তিনি।
এদিকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এ পর্যন্ত নবীগঞ্জ উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৭৫ জন আছে।