স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব রোধে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আমেরিকা থেকে বেড়াতে আসা ১৬ জন প্রবাসিসহ মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ইতালি ফেরত একজনসহ মোট ২৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে গভীর পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। তবে তাদেরকে হাসপাতালে রাখারমতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনের জন্য ৮টি বেড রেডি আছে। আইসোলেশনের জন্য একটি ওয়ার্ডের একটি পুরুষ ও একটি মহিলা কেবিন রেডি আছে। রোববার ১৫ই মার্চ সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা. সাজ্জাদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এদের মধ্যে এক জনের টিবি (যক্ষ্মা) রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা স্বাভাবিক আছে। তবে প্রবাসিদের মধ্যে ভাইরাস জনিত কোন সমস্যা আছে কিনা সেটার জন্য তাদেরকে নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টানে থাকতে বলা হয়েছে।
সমস্যা দেখা দিলে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দল শ্রীমঙ্গলে এসে স্যাম্পুল নিয়ে যাবেন। তিনি জানান, শ্রীমঙ্গলে তাদের এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে একই পরিবারের গত ৮ মার্চ ৮ জন ও শনিবার (১৪ মার্চ) আরও ৮ জন মিলে দু’দফায় ১৬ জন আমেরিকা থেকে দেশে আসেন। ১৪ মার্চ যারা আসছেন, তারা ১৩ দিনের কোয়ারেন্টিনে যাবে আর যারা ৮ মার্চ এসেছেন তাদেরকে অবভজারভেশনে রাখতে বলছি। খবর পেয়ে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা রোববার থেকে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে পর্যবেক্ষণে রাখছি। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা সকাল বিকেল নিয়মিতভাবে তাদের খোঁজ-খবর রাখছেন। এর আগে গত ১০, ১১, ১২ই মার্চ তিন দিনে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব রোধে স্থানীয় ৬ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এদের মধ্যে একজনের টিবি (যক্ষ্মারোগ) নির্ণয় করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকিদের অবস্থা ভাল আছে। এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যেহেতু শ্রীমঙ্গল তথা এই অঞ্চলটি প্রবাসি অধ্যুষিত তাই আমি বিদেশ থেকে আসা সকল প্রবাসীদের বলব, তারা যেনো সচেতন হয়ে নিজ উদ্যোগে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যান। এছাড়া সকল জনসাধারণই যেন প্রয়োজন ছাড়া বাসা বাড়ি থেকে বের না হন। ঘন ঘন হাত ধোয়ার পাশাপাশি হাঁচি-কাঁশি দেবার সময় রুমাল ব্যবহার করেন। আর আতঙ্কিত না হয়ে শারীরিক অসুবিধা দেখা দিলে সাথে সাথে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে আসেন এবং হাসপাতালের ৯ নাম্বার রুমে স্থাপনকৃত কন্ট্রোলরুম নাম্বার (০১৭৩০-৩২৪৭৩৯) এ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করেন।