৯ মার্চ প্রি-একনেকে যাচ্ছে খোয়াই রিভার সিস্টেম প্রকল্প

স্টাফ রিপোর্টার ॥ থেমে থাকা হবিগঞ্জের পুরাতন খোয়াই নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পুনরায় চালুর জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। গতকাল নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে অবগত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফ্রিং আহবান করা হয়। কিন্তু সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের মুখে জেলা প্রশাসক জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদী ও বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের পুরোনা খোয়াই নদীর তীরে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। গতকাল বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানান, মঙ্গলবার শাখা বরাক নদীর তীরে ১০১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। স্থাপনার মধ্যে কাঁচা, পাকা ও আধা পাকা বাড়ি ঘর রয়েছে। উপস্থিত কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক জেলা প্রশাসককে জানান, হবিগঞ্জ শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পুরনো খোয়াই নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। সাবেক জেলা প্রশাসক উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিলেন। শহরের দক্ষিণাংশ (মাছুলিয়া) থেকে উচ্ছেদ শুরু হলে জনগণ আশা করেছিলেন এ অভিযান উত্তরাংশে গিয়ে শেষ হবে। কিন্তু বর্তমানে এ অভিযান বন্ধ থাকায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকরা খোয়াই নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান কি কারনে বন্ধ রয়েছে জানতে চাইলে জবাবে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, প্রয়োজনীয় ফান্ড না থাকায় এতদিন অভিযান বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এর জন্য ২৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ফান্ড দিয়েছে। স্থাপনা ভাঙ্গন কাজে শ্রমিকসহ অন্যান্য কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও অবৈধ দখলদারকে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানানো হয়। অবৈধ স্থাপনার মধ্যে মসজিদ মন্দির স্কুলসহ ৫টি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, কিছু লোক উচ্চ আদালত থেকে আদেশ এনে তারা স্থাপনা তৈরী করেছেন। আদালতের আদেশ থাকায় তা উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। এগুলো উচ্ছেদে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রয়োজনে অধিগ্রহণ আইনে এসব স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, আগামী ৯ মার্চ খোয়াই রিভার সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পটি প্রি-একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এদিকে হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কসহ আনাচেকানাচে পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার যত্রতত্রভাবে ঝুলিয়ে রাখার কারণে শহরের সৌন্দোর্য্য নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি আগামী আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অমিতাভ পরাগ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মর্জিনা খাতুন, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মোঃ নূরুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত, প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান জাহির, সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা রফিক, শামীম আহছান, রুহুল হাসান শরীফ, শোয়েব চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান, রাশেদ আহমদ খান, নুরুজ্জামান চৌধুরী শওকত, সিরাজুল ইসলাম জীবন প্রমূখ।