চাচা তার ৫ কন্যা সন্তানকে বিয়ে দিয়ে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছেন ॥ চাচার কোন পুত্র সন্তান না থাকায় ভাতিজারা চাচার সম্পত্তি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ॥ ভাতিজাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে চান নিরীহ আব্দুস শহিদ

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে চাচার সম্পত্তি দখলে ব্যর্থ হয়ে বয়স্ক চাচ-চাচী সহ ৪জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে তারই আপন ভাতিজারা। গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের ঘটনাটি ঘটে।
আহত সূত্র জানায়, আদমপুর গ্রামের আব্দুস শহিদের সাথে তার ভাতিজা শিক্ষক বশির আহমেদ গংদের দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। এরই জের ধরে ঘটনার দিন সহকারি শিক্ষক বশির আহমেদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল হালিম, আব্দুল জলিল রুবেল, মোজাম্মেল হক ও মোঃ নাঈমসহ তাদের লোকজন আব্দুস শহিদের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আব্দুস শহিদ (৫২) ও তার স্ত্রী মোছাঃ খুসবানু আক্তারকে (৪৫) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তাদের বাঁচাতে এগিয়ে এলে একই বাড়ির আব্দুল কাদিরের ছেলে রুহুল আমিন (২৫) ও রোকেয়া বেগমকেও (৫০) মারপিট করে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চুনারুঘাট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে কর্তব্যরত ডাক্তাররা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রুহুল আমিন ও আব্দুস শহিদকে হবিগঞ্জ আধুুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে আহত আব্দুস শহিদ জানান, আমার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় ভাতিজাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। আমার সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা করছে ভাতিজারা। তিনি আরও জানান, আমার ৬ কন্যা সন্তান রয়েছে এবং তাদের বিয়ে দিয়েছি। আমার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় জোরপূর্বক জমি দখল করতে চায় ভাতিজা শিক্ষক বশির আহমেদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসের আব্দুল হালিম ও তার অপর তিন ভাই। তিনি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চান এবং তাদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে চান।