ব্রাজিলের আমাজন রেইনফরেস্টের সন্নিকটে বেলেম শহরে চলমান আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন ২০২৫ (কপ ৩০) কে সামনে রেখে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবীতে বিশ্বব্যাপী কর্মদিবসের অংশ হিসেবে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে পরিবেশবাদীদের জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট শাখা, শাবিপ্রবি’র পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী সংকটের যুগে বাস করছি। যার জন্য বিশ্বব্যাপী এবং আন্তঃসংযুক্ত প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন। উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম, সারা বিশ্বে সাধারণ মানুষ ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, জলবায়ু বিপর্যয় এবং প্রকৃতির ধ্বংসের প্রভাব অনুভব করছে। কর্পোরেট আধিপত্য এবং দায়মুক্তি অব্যাহত থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহ মৃত্যু উপত্যকায়।
সুরমা রিভার ওয়াটার কিপার ও ধরা সিলেট শাখার সদস্য সচিব আব্দুল করিম চৌধুরী কিম এর সভাপতিত্বে ও ধরার সদস্য রেজাউল কিবরিয়া লিমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ধরার সংগঠক ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধরার সদস্য ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটির জি-স্টুডিও উইং চিফ মোঃ হানিফ হাসান নিশান, গণমাধ্যম কর্মী রোমেনা বেগম রোজী, পরিবেশকর্মী সোহাগ তাজুল আমীন, নাট্যকর্মী নাহিদ পারভেজ বাবু প্রমূখ।
প্রধান অতিথি ধরার সংগঠক ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, বাংলাদেশ হলো জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটে থাকা বিশ্বের অন্যতম দেশ। নদীমাতৃক ও ছয় ঋতুর দেশ হওয়া সত্বেও অবস্থানগত কারণে জলবায়ু ন্যায্যতা থেকেও বঞ্চিত। উন্নত দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়নের নামে ঋণের জালে আবদ্ধ করছে দেশটিকে। বৈশ্বিক অন্যায্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দ্বারা পরিবেশ ক্রমশ শোষিত হচ্ছে। এই পরিবেশগত বর্ণবাদের দ্বারা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশসমূহ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ সংকট থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিজ্ঞপ্তি
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com

