হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার (২৫ আগস্ট) একাডেমিক ভবন-১ এর সম্মুখস্থলে জার্ম প্লাজম সেন্টার তৈরীর নিমিত্তে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাফিজা খাতুন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও কৃষাণ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রখ্যাত জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে জেনেটিক সম্পদ উপহার প্রদান করেছেন, যা বৃহত্তর সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ধানের জাতসমূহ নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত কাসালাথ জাত, যা ড. চৌধুরী পূর্বে পুনরুদ্ধার করেছিলেন। এছাড়া রয়েছে ড. আবেদ চৌধুরী উদ্ভাবিত ধানের জাত কে-৪, কে-৬, কে-১১, কে-১৪, কালো ধান (স্থানীয় সিলেটি জাত), পাইকেশ্বরী (স্থানীয় সিলেটি জাত), খাসালাথ (স্থানীয় সিলেটি জাত), বারোশ (স্থানীয় সিলেটি জাত), চেঙ্গরি (স্থানীয় সিলেটি জাত), ঐতিহ্যবাহী সিলেটি আমন, আবেদ ধান (আবেদ চৌধুরী উদ্ভাবিত আমন জাত)। উপহার প্রাপ্ত বীজের তালিকায় রয়েছে মেথি শিম, কালো বরবটি, উড়দ, মুগ ডাল, দেশি বরবটি, গরুর মটর, সুগন্ধি শাক, তিল, কালো সরিষা, কাউন, হলুদ সরিষা, চিয়া, তিসি, পাট (তন্তু জাতীয়), লাল ভুট্টা, কালো ভুট্টা, সাদা ভুট্টা, হলুদ ভুট্টা, মিশ্র ভুট্টা, কাউন (রাসেল জাত), দেশি পাট, কুটু শস্য, সূর্যমুখী, দেশি কালো বরবটি, দেশি মিশ্র বরবটি, বুনো চেরি টমেটো, মটরশুঁটি, দেশি সেম শিম, দেশি অড়হর, ঝিঙা। এছাড়াও ৯৪টি আগর গাছের চারাও রয়েছে জার্ম প্লাজমের জন্য উপহারের তালিকায়।
পঞ্চব্রীহি ধানের জাত সহ নানা জাতের উদ্ভাবক ড. আবেদ চৌধুরী মূলত মাতৃভূমির প্রতি আবেগের জায়গা থেকে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে এসব জেনেটিক সম্পদ উপহার প্রদান করেছেন। তাঁর মা হাফিজা খাতুন চৌধুরীর স্মৃতিকে কেন্দ্র করে হাফিজা খাতুন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট পরিচালিত হয় যাঁর জন্ম হবিগঞ্জে। জার্মপ্লাজম কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ। কৃষাণ ফাউন্ডেশন ও হাফিজা খাতুন মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সহযোগিতায় হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে জার্ম প্লাজম সেন্টার তৈরীর উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ বলেন, বিশিষ্ট জিন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরীর দেয়া উপহারের মাধ্যমে জার্ম প্লাজম কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তাঁর এই গুরুত্বপূর্ণ ফসলের জেনেটিক সম্পদসমূহের উপহার ভবিষ্যতে উদ্ভিদ জীববিজ্ঞান, জেনেটিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং ফসল উদ্ভিদবিদ্যায় গবেষণা ত্বরান্বিত করতে মূখ্য ভূমিকা পালন করবে।