একটি কুচক্রিমহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আখড়া কমিটি মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে
গত ৩০ জুলাই বুধবার দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার ১ম পাতায় বানিয়াচংয়ের ইকরাম শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিউর আখড়ার সভাপতি গোপাল সরকার ও সাধারণ সম্পাদক জগিন্দ্র সরকার এর বরাতে ‘‘প্রকাশিত প্রতিবাদের প্রতিবাদ” শিরোনামের প্রতিবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত প্রতিবাদে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মানহানিকর ও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল।
প্রতিবাদে তারা উল্লেখ করেন আখড়া কমিটির সভাপতি হরকুমার সরকার এর সাথে আখড়ার জায়গা বিনিময় করার কোন সত্যতা নেই। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। আমি ঐদিন প্রতিবাদে কিন্তু উল্লেখ করেছি উত্তর সাংগর, শতমুখা ও ইকরাম গ্রামের (তিন গ্রাম) আখড়ার ভক্তবৃন্দ তৎকালিন আখড়া কমিটির সভাপতি হরকুমার সরকারকে আখড়ার জমি বিনিময় করার জন্য রেজুলেশন করে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এরপর আখড়া কমিটির সভাপতি হরকুমার সরকারের সাথে আমার জমি বিনিময় হয়। যা বিনিময়ের কাগজ আমার কাছে রয়েছে এমনকি বানিয়াচং এর এসএসপি সার্কেল ও বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকটও বিনিময়ের কাগজপত্র ও প্রমাণাদি ইতিপূর্বে দাখিল করিয়াছি। এছাড়াও আমি সিনিয়র সহকারী জজ বানিয়াচং আদালত হবিগঞ্জে একটি মামলাও দায়ের করি। উক্ত মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। আমার কাছে কাগজপত্র বা প্রমাণাদি থাকার কারণেই আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছে এবং তার বিচারাধিন রয়েছে। এসব প্রমাণ থাকার পরও কমিটির লোকজন স্থানীয় একটি কুচক্রিমহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য পত্রিকায় এ ধরণের প্রতিবাদ দিয়েছে। তারা প্রতিবাদে উল্লেখ করেছে আমি আখড়ার জায়গা লিজ নিয়েছি। তা আদৌ সত্য নয়। যেখানে আমি তাদের সাথে বিনিময় করেছি, যার প্রমাণ আমার কাছে আছে এবং প্রশাসনের কাছেও দাখিল করেছি, এরপরও তারা লিজের নামে সাপাই গেয়ে প্রপ্রাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
প্রতিবাদে আরো উল্লেখ করেছে আমি নাকি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছি। তা মিথ্যা ও বানোয়াট ও মানহানিকর। আমি সুজাতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকাকালিন অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করি। আমার ইউনিয়নের মানুষ জানে আমি কোন ধরণের। আমি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে আমার এলাকার মানুষের জন্য নিরসলভাবে কাজ করেছিলাম। তৎকালীন সময়ে আমার উন্নয়নেই প্রমাণ করে আমি মানুষের জন্য কতটুকু কাজ করেছি। সেই সময়ে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কবল থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক সম্পত্তিও উদ্ধার করে দিয়েছি। আমি চেয়ারম্যান থাকাকালিন বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায় শান্তিতে বসবাস করেছে। যার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশের ভাগ ভোট আমিই পেয়েছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় কমিটির কয়েকজন লোক বলে আমি নাকি হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছি, যা হাস্যকর ও পাগলের প্রলাপ। আমার দীর্ঘদিনের সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই মূলত ওই কুচক্রিমহল আখড়া কমিটির কাঁধে ভর করে আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় গোপাল সরকার কিছু কুচক্রিমহলের কাছে জিম্মি হয়ে আমার বিরুদ্ধে গতকাল পত্রিকায় প্রতিবাদ ছাপিয়েছে। কিন্তু গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে আখড়া কমিটির সভাপতি গোপাল সরকার পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে বলে, সাবেক চেয়ারম্যান আছকির মিয়া (সামদু) আখড়া কমিটির কোন কাজের সাথে জড়িত নন, এমনকি পুকুর দখল বা গাছ কাটার সাথে তিনি সম্পৃক্ত নন। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। যা ওই তারিখের পত্রিকা দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাহলে আজকে কেন তিনি আমার মুখাপেক্ষি হলেন তা আমার বোধগম্য নয়। তাই পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর প্রতিবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
আছকির মিয়া (সামদু)
সাবেক চেয়ারম্যান
সুজাতপুর ইউপি, বানিয়াচং।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com