বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে প্রতিপক্ষের হামলা ও মারপিটে বউ-শাশুড়ি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে।
আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ২নং পুটিজুরী ইউনিয়নের উত্তর ডুবাঐ গ্রামের আবিদ আলীর ৫ বছরের শিশুপুত্র গত ২ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িতে খেলাধুলা করছিলো। এসময় বাচ্চার বলটি প্রতিবেশী প্রবাসী শিপন মিয়ার স্ত্রী খতভানু বেগম ও সোহেল মিয়ার স্ত্রী জাসমিন আক্তারের ঘরের সামনে চলে যায়। এ নিয়ে খতভানু ও জাসমিন আক্তার আবিদ আলীর শিশু বাচ্চাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা করে। এমতাবস্থায় আবিদ আলীর স্ত্রী মোছাঃ তহুরা খাতুন এগিয়ে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাসমিন আক্তার ঝগড়ার বিষয়টি গোলগাও তার বাবা নবীদ আলী ও ভাই রিশন মিয়াকে জানায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক জাসমিন আক্তারের বাবা নবীদ আলী ও ভাই রিশন মিয়া জাসমিনের বাড়িতে এসে আবিদ আলীর পুরুষশূন্য বাড়িঘরে ঢুকে আবিদ আলীর স্ত্রী মোছাঃ তহুরা খাতুনকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে বেধড়ক মারপিট করতে থাকেন। এসময় তহুরা খাতুনের শাশুড়ি নাজিরা খাতুন (৬০) নবীদ আলী ও রিশন মিয়ার হাত থেকে পুত্রবধূ তহুরা খাতুনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে নাজিরা খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় কোন পুরুষ বাড়িতে না থাকায় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তহুরা খাতুন ও তার শাশুড়ি নাজিরা খাতুনকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরিবারের লোকজন তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার বউ-শাশুড়িকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেন। সেখানে গাইনি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তহুরা খাতুনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার গর্ভ নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান। এ ঘটনায় তহুরা খাতুন বাদী হয়ে আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা হলেন- গোলগাঁও গ্রামের নবীদ আলী (৫০), নবীদ আলীর ছেলে মোঃ রিশন মিয়া (২২), উত্তর ডুবাঐ গ্রামের শিপন মিয়ার স্ত্রী খতভানু বেগম (৩৫), সোহেল মিয়ার স্ত্রী জাসমিন আক্তার (২৮) ও মৃত দানিছ মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (৩৫)।