আবুল কালাম আজাদ, চুনারুঘাট থেকে ॥ চা বাগানের একজন শ্রমিকের মজুরি এখনো মাত্র ১৭৮ টাকা। এ টাকা মজুরি দিয়ে চা শ্রমিকের পরিবারে যেন “নুন আনতে পান্তা পুড়ায়” অবস্থা। শিক্ষা স্বাস্থ্য অন্য বস্ত্র বাসস্থান এ মৌলিক চাহিদাগুলো পুরুণ করা তাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের। এর মধ্যেও চা শ্রমিকদের অন্ধকারের জীবন থেকে ধীরে ধীরে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটছে। চা শ্রমিকের সন্তানেরা শত কষ্টের মধ্যেই আলোর সন্ধানে এগিয়ে যাচ্ছে। চা শ্রমিকের সন্তানরা প্রাইমারি হাইস্কুল ও কলেজের গন্ডি অনেকে আগেই পেরিয়েছে। এবার তাদের চোখ বিশ^বিদ্যালয়ের দিকে। ইতোমধ্যে প্রতি বছর হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের চা বাগানের একাধিক সন্তান বিশ^বিদ্যালয়ে পা দিয়েছে। এবার এ কাতারে সামিল হলেন চুনারুঘাটের নালুয়া বাগানের চা শ্রমিকের সন্তান প্রতাপ উড়াং। সে চলতি বছর ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু দরিদ্র চা শ্রমিকের সন্তান বলে কথা। সামনে তার কঠিন সংগ্রাম। এ অবস্থায় সম্প্রতি ফেসবুকে প্রতাপ উড়াংকে নিয়ে এ প্রতিবেদক একটি পোস্ট করেন। বিষয়টি নজরে এলে প্রতাপের পাশে দাঁড়ান চুনারুঘাটের কৃতি সন্তান নরপতি সাহেববাড়ির বাসিন্দা, আমেরিকা প্রবাসি সৈয়দ জিয়াউল আহসান আসাদ। তিনি প্রতাপের বিশ^বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সকল দায়িত্ব নেন।
গত সপ্তাহে প্রতাপ উড়াং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের স্ট্রাডেজি এন্ড লিডারশিপ ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হন। ভর্তিসহ তার সকল খরচপাতি বহন করেন আসাদ। একই সাথে আগামী দিনে প্রতাপ উড়াং এর লেখাপড়ার দায়িত্বও তিনি নেন এবং প্রতাব উড়াং এর পরিবারের সাথে কথা বলেন।
উপজেলার নালুয়া চা বাগানের প্রেম উড়াং এর ছেলে প্রতাপ উড়াং ২০২৪ সালে মদন মোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন এবং ২০২২ সালে ক্যামেলিয়া ডানকান ফাউন্ডেশন স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। তার পিতা নালুয়া চা বাগানের ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন।
প্রতাপ উড়াং জানায় সে বড় হয়ে দেশের সেবায় নিয়োজিত হতে চায়। সে একজন বিসিএস ক্যাডার হয়ে মানুষের সেবা করতে চায়।