সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুঃস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত (ভিজিএফ) ১০ বস্তা চাল পাচার করার অভিযোগ ওঠেছে। বুধবার (২৫ জুন) বেলা ৩টায় মোবাইলে চাল পাচারের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক এসএম জুবায়ের আহমেদ এর মোটরসাইকেল এর গতিরোধ করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও বাইক ছিনিয়ে নিয়ে যায় মনতৈল গ্রামের মিয়া হোসেন, রাসেল সহ চাল পাচারকারী চক্র। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। চাল পাচারের একাধিক ভিডিও ফুটেজ এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক এসএম জুবায়ের আহমেদ বলেন, করাব ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হচ্ছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি। ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই তিনি খবর পান মনতৈল গ্রামের মিয়া হোসেন, রাসেল মিয়া, আশিক মিয়া, সাইফুল মিয়া নামে ৪ ব্যক্তি ৫০ কেজি ওজনের ৮ বস্তা ও অর্ধবস্তাভর্তি ২ বস্তাসহ মোট ১০ বস্তা চাল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাচারের উদ্দেশ্য তড়িঘড়ি করে ইজিবাইক (টমটম) যোগে নিয়ে যাচ্ছিল। পরে তিনি তার মোটরসাইকেল যোগে ৫ কিলোমিটার দুরত্বে গিয়ে তাদের ইজিবাইক (টমটম) আটক করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। এক পর্যায়ে চাল পাচারকারীরা তার উপর চড়াও হয় এবং তার মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওটি ডিলিট করার উদ্দেশ্যে ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। এমনকি তারা মোটরসাইকেল সহ চাবি নিয়ে যায়। তাকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন মোটর সাইকেলসহ চাবি ফিরিয়ে দিলেও একটি মোবাইল ফোন ফিরিয়ে পাননি জুবায়ের। তিনি ওই চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
ইজিবাইক (টমটম) চালক ছোটন বলেন, এ চালগুলো আমাকে মিয়া হোসেন ও রাসেল দিয়েছেন। চালগুলো কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন প্রশ্ন করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।
চাল পাচারের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মিয়া হোসেন ও রাসেল এর সাথে কথা হলে তারা বলেন, আপনি দেখা করেন আপনাকে এ বিষয়ে ফোনে বলা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত ট্যাগ অফিসার মোর্শেদ কামালের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
করাব ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সাংবাদিকের সাথে ঘটে যাওয়া বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। কারা চাল পাচার করছে আমি জানি না। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপ বলেন, ভুক্তভোগী সাংবাদিককে বলেন আমার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য। আর আপনার কাছে কোন প্রমাণ থাকলে আমাকে দিন। আমি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
লাখাই থানার ওসি মোঃ বন্দে আলী বলেন, ভুক্তভোগী সাংবাদিক থানায় জিডি বা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।