স্টাফ রিপোর্টার \ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) বাণিজ্যের অভিযোগে ইমরান মিয়া (২৫) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ। তবে ইমরান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, ইমরানের বিরুদ্ধে এর আগে এমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া হাসপাতালের লোকজনও তাকে কোনোদিন ওই এলাকায় দেখেনি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ওই সময় তারা ইমরানকে আটক করেন। আটক ইমরান বানিয়াচং উপজেলার উত্তর সাঙ্গর গ্রামের ইনসাফ আনসারীর ছেলে।
জানা যায়, এক আত্মীয়ের এমসি নিতে তিনি হাসপাতালের আরএমও’র সহকারী শাহজাহানের কাছে আসেন। এসময় তাকে আটক করে সদর থানায় খবর দিলে এসআই আলী আকবর তাকে থানায় নিয়ে আসেন। এর আগে এসআই আলী আকবর শহরের চৌধুরী বাজার এলাকা থেকে টমটমের ক্যাশ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় এক যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তিনি জানান, সমন্বয়করা ইমরানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। কিন্তু তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেনি। তাছাড়া এ ঘটনায় কেউ বাদী হয়ে থানায়ও কোন অভিযোগ দেয়নি। তাই আটক ইমরানকে ১৫১ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হবে।