
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবলের রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড থেকে শ্রমিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিমাসে ৪/৫ লাখ টাকা প্রভাবশালীরা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন তেল বোঝাই প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়ি থেকে ২শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। এ চাঁদা আদায়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ শাহজাহান ভূইয়া।
অভিযোগে জানা যায়, তেলের কোন ডিপো না থাকা সত্বেও ফেনী জেলা ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন নামে একটি শ্রমিক সংগঠন করে মোঃ শাহজাহান ভূইয়া নিজেকে ওই সংগঠনের সভাপতি দাবী করেন। কমিটিতে রাখা হয় তার ছেলে, শ্যালক ও ভাগিনাকে। অথচ সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যেখানে তেলের ডিপো নেই সেখানে কোন সংগঠনও থাকবে না। শাহজাহান ভূইয়া এ সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শণ করে ফেনী বিভাগ ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পদ ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। অভিযোগে আরো জানা যায়, ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে তিনি পূর্বাঞ্চল ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন নামে আরেকটি কমিটি গঠন করে ওই কমিটির নামে ফেডারেশনের বি-নং-২১০০ রেজিস্ট্র্রেশন নম্বর ব্যবহার করে হবিগঞ্জের বাহুবলের রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড থেকে চাঁদা আদায় করছেন। বাহুবলের রশিদপুর ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের বৈধ কমিটি ইউনিয়ন চাঁদা, বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ফেডারেশন চাঁদা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে আদায় করার বিধান থাকলেও এই কমিটিকে পাশ কাটিয়ে শাহজাহান ভূইয়া পূর্বাঞ্চল কমিটি নামে একটি কমিটি গঠন করে চাঁদা আদায় করে শ্রমিকদের কল্যাণে তা ব্যয় না করে নিজে পকেটস্থ করছেন। কিন্তু পূর্বাঞ্চলের নামে কোন রেজিস্ট্র্রেশন না থাকায় ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নাম্বার বি-নং-২১০০ ব্যবহার করে তিনি চাঁদা আদায় করে যাচ্ছেন। এতে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি তাকে সহযোগিতা করছেন। তার এ সমস্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগ ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন ১১ দফা দাবী সম্বলিত একটি আবেদন বাংলাদেশ ট্যাংক লরি শ্রমিক ফেডারেশনে দাখিল করলেও এ ব্যাপারে কোন কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
দাবীগুলোর মধ্যে অন্যতম সিলেট বিভাগ ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের মাধ্যমে ভরগাঁও রশিদপুর ১ ও ৫নং কূপে ট্যাংক লরি শ্রমিকদের দেয়কৃত চাঁদা আদায় নিশ্চিত করা। ভুক্তভোগী শ্রমিকদের দাবী আদায়কৃত চাাঁদার একটি অংশ ট্যাংক লরি শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে জমা প্রদান এবং আপদকালীন সময়ে ওই ফান্ড থেকে শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করার কথা থাকলেও ওই ফান্ডে কোন টাকা জমা না থাকায় শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে তা বিদ্রোহে রূপ নিতে পারে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভূক্তভোগী শ্রমিকরা।