চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ স্ত্রীকে মারপিট ও যৌতুকের মামলা এবং টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ ফরিদ আহমেদকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ফরিদ আহমেদ চুনারুঘাট পৌরসভার বাল্লারোড এলাকার মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে। রবিবার বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তৈমুর পাশা এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে চুনারুঘাট পৌর শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে পৃথক দুটি মামলায় এক বছরের করে মোট দুই বছরের সাজা রয়েছে।
পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর উত্তরপাড়া এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তার এর সাথে ফরিদের বিয়ে হয়। বিয়ের অল্প সময়ের মধ্যেই যৌতুকের দাবিতে তানজিনার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে ফরিদ। স্ত্রীর ভরণপোষণ না দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সে। এরপরও নির্যাতন থেমে থাকেনি। ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর পাঁচ সন্তানসহ তানজিলাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় সে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা হলেও ব্যর্থ হয়। অবশেষে বাধ্য হয়ে তানজিনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফরিদ আহমেদ, তার মা মোমেনা খাতুন ও ভাই মাসুদ আহমেদের বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে মামলা করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত ফরিদকে এক বছরের কারাদ- ও এক লাখ টাকা অথদ-ে দন্ডিত করেন। এছাড়া ফরিদ আহমেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ মিয়ার কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে ১৯ লাখ টাকা ধার নিয়ে আত্মসাৎ করেন। পরে ভুক্তভোগী প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফরিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত তাকে এক বছরের সাজা প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে ফরিদ পালিয়ে আত্মগোপন করেন।
চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।