জাবেদ তালুকদার, নবীগঞ্জ ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে স্বামীর লাথিতে অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে স্বামী মাহমুদ মিয়াকে আটক করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্র জানায়, প্রায় ১৭ বছর আগে উপজেলার ৭নং করগাও ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের করিম মিয়ার মেয়ে নিছফা আক্তারকে বিয়ে করেন ৮নং সদর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে মাহমুদ আলী। তাদের সংসারে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে। ইতিমধ্যে মাহমুদ আলী পৌর এলাকার ছালামতপুর গ্রামে আরেকটি বিয়ে করে। গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে ২য় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে যায় মাহমুদ। এ নিয়ে ৩ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা প্রথম স্ত্রী নিছফা আক্তার ও তার স্বামী মাহমুদ আলীর মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী মাহমুদ আলী সজোড়ে স্ত্রী নিছফা আক্তারের পেটে লাথি মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। সেখানে ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পরে মৃতদেহ থানায় নিয়ে আসলে পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।
ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে স্বামী মাহমুদকে গ্রেফতার করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আটককৃত মাহমুদকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নবীগঞ্জ থানার থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী বলেন, নিহতের স্বামী মাহমুদ আলীকে গ্রেফতার করে ৫৪ ধারায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবার কোন মামলা দেয়নি।