স্টাফ রিপোর্টার ॥ গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন (কারফিউ) জারি করেছে সরকার। রবিবার (৪ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের পদত্যাগ দাবিতে গতকাল রবিবার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচি ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় অন্তত ৯৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার সন্ধ্যা থেকে সার্বক্ষণিক কারফিউ জারি করা হলো।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। সহিংসতার মধ্যে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। গত বুধবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ ১৩ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল ছিল। রবিবার থেকে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা থেকে ১৫ ঘণ্টা শিথিল করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা পুলিশের গুলিতে নিহতদের বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করে। দাবি আদায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রবিবার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছে।