মো. মামুন চৌধুরী ॥ নীলচে বেগুনি জলচর পাখি ‘কালিম’। অনেক এলাকায় এই পাখিকে কালেম বলেও ডাকা হয়। বাংলাদেশের হাওর, খাল-বিল ও জলাশয়গুলোতে এদের সবচেয়ে বেশি দেখতে যাওয়া যায়। তবে, শিকারিদের কারণে এখন এই পাখি হবিগঞ্জে তেমন একটা দেখতে পাওয়া যায় না। রোববার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে শায়েস্তাগঞ্জ বনজদ্রব্য পরীক্ষণ ফাঁড়ির কর্মকর্তা ফরেস্টার দিবাংকর রায় ছয়টি বেগুনি কালিম পাখি উদ্ধার করেন। বিকেলে পাখিগুলো রেঞ্জ অফিসের কাছের একটি জলাশয়ে অবমুক্ত করেন রেঞ্জ কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ ঘোষ। পাখি অবমুক্ত করার সময় উপস্থিত ছিলেন- শায়েস্তাগঞ্জ রেঞ্জের এটেস্ট অফিসার সৈয়দ আশিকুর রহমান, রেঞ্জ সহকারী মো. আশরাফুল মোমিন প্রমুখ। রেঞ্জ কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, পাখি উদ্ধার করা গেলেও শিকারিকে আটক করা সম্ভব হয়নি। কৌশলে তিনি পালিয়ে যান।’
পরিবেশ প্রেমিক রুবেল মিয়া বলেন, ‘কালিম পাখির ঠোঁট দেখতে পুরোপুরি লাল। লালের আবরণ ঠোঁটের মাথার পেছন পর্যন্ত বিস্তৃত। ডানা সবুজ। তবে লেজের নিচের দিকটা সাদা। দেহের সিংহভাগ অংশ নীলচে। বেগুনি রঙের আভা ভর করেছে নীলের ওপর। লেজ ও পাখার শেষ অংশে রয়েছে কালচে ভাব। পা দু’টো বেশ লম্বা। তার থেকেও লম্বা পায়ের আঙুলগুলো। পাখিগুলো ভালো সাঁতার কাটতে পারে। মাথার ওপরটা ঢাকা বর্মে। ঠোঁটের গোড়া মোটা হলেও দু’পাশ থেকে বেশ চাপা। চোখের রঙ অনেকটা রক্তলাল। এ প্রজাতির পাখি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’