বঞ্চিত হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও অসহায় পরিবারের হতদরিদ্র মহিলারা
সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাই উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বুল্লা বাজারে নির্মাণের ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও উদ্বোধন হয়নি উইমেন্স কর্ণারের। উইমেন্স কর্ণার উদ্বোধন না হওয়ায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার ও আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও অসহায় পরিবারের হতদরিদ্র মহিলারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাখাই উপজেলার বুল্লা বাজারে নির্মিত ৫ রুম বিশিষ্ট উইমেন্স কর্ণারের সামনে কয়েকজন ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন এবং বুঝার কোন উপায় নেই যে এখানে একটি উইমেন্স কর্ণার ভবন আছে। উইমেন্স কর্ণার ভবনের ভিতরে গিয়ে দেখা যায় ব্যবসায়ীরা উইমেন্স কর্ণারের রুম দখল করে গুদাম ঘর হিসেবে ব্যবহার করছেন এবং তালাবদ্ধ আছে কয়েকটি রুম।
সুত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও অসহায় পরিবারের মহিলাদের স্বাবলম্বী করার জন্য উইমেন্স কর্ণার তৈরী করা হয়েছিল কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার ১০ বছর পরও উইমেন্স কর্ণার ভবনের দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়নি ফলে প্রতিবছর সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে।
অসহায় পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগণ স্বাবলম্বী হবে দূরের কথা এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে কোন উদ্যোগই গ্রহন করা হয়নি।
এ বিষয়ে বুল্লা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ জানান, বুল্লা বাজারের উইমেন্স কর্ণার ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু দোকান বরাদ্দের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার উদ্যোগ নেননি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই ভাল জানে কেন উইমেন্স কর্ণার ভবনটি উদ্বোধন করা হয়নি। আমি চাই দ্রুত উইমেন্স কর্ণারটি উন্মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও অসহায় পরিবারের মহিলাদের স্বাবলম্বী করে সরকারের রাজস্ব আদায় হোক এবং আমি এ বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মহোদয়ের সাথে আলাপ করে দ্রুতই উইমেন্স কর্ণারটি উদ্বোধনের একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লাখাই উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন জানান লাখাই উপজেলায় আমি নতুন যোগদান করেছি, আমি বুল্লা বাজারের উইমেন্স কর্ণারের উদ্বোধনের বিষয়ে অবগত না, আমি অফিসের কাজে শিবপুরে আছি, অফিসে এসে এ বিষয়ে জেনে আপনাকে জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান, বুল্লা বাজারের উইমেন্স কর্ণারটি এলজিইডি কাজ করেছিল, কাজ শেষ করার পর হস্তান্তর করেনি। অফিসিয়ালি ভবন বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
এর আগেও উইমেন্স কর্ণারটি নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় কয়েকবার কথা বলেছি। তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী যিনি ছিলেন তিনি খোঁজখবর নেই নিচ্ছি দেখতেছি বলে সময়ক্ষেপণ করেছেন। এখন আবার নতুন প্রকৌশলী এসেছেন উনার সাথে আলাপ করে দেখেন উনারা বানিয়েছেন উনারা কেন হস্তান্তর করেননি সে বিষয়ে তারাই বলতে পারবেন এবং উইমেন্স কর্ণার নিয়ে কিভাবে কাজ করে উদ্যোক্তা বাড়ানো যায় সে বিষয়ে অফিসিয়ালি কার্যক্রম গ্রহণ করব।