প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার আগুয়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪ মার্ডারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামীদের বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাটের তান্ডবলীলা চালানো হয়েছে। বাদীপক্ষের লোকজন আসামীদের অন্তত ৫ শতাধিক বাড়িঘরে থাকা ধান, চাউল, গরু, স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজ ও ফার্নিচারসহ ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইয়াছমিন আক্তারসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী নারী।
লিখিত বক্তব্যে ইয়াছমিন আক্তার বলেন, গত ৯ মে আমাদের গ্রামে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হয়েছিল। ওই ঝগড়ায় ৪ জন লোক খুন হয়। পরবর্তীতে উক্ত খুনের বিষয়ে মোঃ জুটন মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অনেককে মিথ্যাভাবে জড়িত করে আসামী শ্রেণীভূক্ত করা হয়। অথচ প্রকৃত খুনীরা অত্র খুনের মামলার বাদী মোঃ জুটন মিয়া ও তাদের দলনেতা আলী আহমদ সোহেল এর নেতৃত্বে প্রকৃত খুনীদের নিকট হতে অর্ধকোটি টাকা নিয়ে তাদেরকে খুনের মামলায় আসামী করা হয়নি।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, ওই খুনের পরপরই গ্রামের পুরুষরা বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে যায়। এক পর্যায়ে গ্রামটি পুরুষশূন্য হওয়ার সুযোগে আলী আহমদ সোহেলের নেতৃত্বে মহিলা, শিশু ও বয়বৃদ্ধ লোকদের উপর নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে বাড়িঘরসহ খুনের মামলার প্রত্যেকটি আসামীর বাড়িঘর লুটপাট, ভাংচুর এবং বাড়িঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টিভি, সোফা, খাট, ডাইনিং টেবিল, চেয়ারসহ মালামাল নিয়ে যায়। এমনকি নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, পানির টিউবওয়েল, ঘরের টিন, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী, ধান-চাল, মোটর সাইকেল, পাওয়ার ট্রিলার, মারাইকল, রাইস মিল সহ অনুমান ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার মালামাল নিয়ে গেছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এছাড়াও বাদীপক্ষের লোক আলী আহমদ সোহেল ও তার দলীয় লোকজন প্রতিদিন খুনের মামলার আসামীগণের স্ত্রী সন্তান মা-বাবা, ভাই-বোনদের প্রতি অন্যায় অবিচার ও হত্যার হুমকি প্রদর্শন করায় সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ জেলার অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট আলী আহমদ সোহেল ও তার দলীয় লোকজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবী জানানো হয়। এদিকে লুটপাটের বিষয়ে একটি মামলা হলেও ১নং আসামী আলী আহমদ সোহেলসহ আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলা প্রত্যাহার করার জন্য হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। তারা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ।